Site icon suprovatsatkhira.com

নওয়াবেঁকীতে খোলপেটুয়ার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন

আশিকুর রহমান, নওয়াবেঁকী (শ্যামনগর): শ্যামনগরের নেওয়াবেঁকীতে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নওয়াবেঁকীর বিড়ালাক্ষী থেকে কুনের মাথা পর্যন্ত ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতংকে দিন পার করছে এলাকাবাসী। অবিলম্বে সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়া হলে বাঁধ ভেঙে উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কাশিমাড়ী, বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সারাদিন মুষুলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। একই সাথে নদীতে তীব্র ¯্রােত দেখা দিয়েছে। নদীর ঢেউ প্রতিনিয়ত আচড়ে পড়ছে বেড়িবাঁধের উপর। এতে ভাঙতে শুরু করেছে খোলপেটুয়া নদীর কিনারা এবং বেড়িবাঁধের চারপাশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নওয়াবেঁকীর বিড়ালাক্ষী স্লুইচ গেট সংলগ্ন কিনারা থেকে শুরু করে কুনের মাথা পর্যন্ত বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে নদীতে চলে যাচ্ছে। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে ওয়াপদার মাটি নরম হয়ে বিভিন্ন স্থানে ধ্বস নামার আশংকা করছে এলাকাবাসী। আর বাঁধ ভাঙলে প্লাবিত হবে শত শত একর জমি, ঘেরবেড়ি, বসতভিটা এবং রাস্তাঘাট। ম্লান হয়ে যাবে সরকারের সব উন্নয়ন কর্মকা-।
এলাকাবাসীর দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগাম ব্যবস্থা নিলে বড় ধরণের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
সূত্র জানায়, বিড়ালাক্ষী স্লুইচ গেট থেকে শুরু করে কুনের মাথা পর্যন্ত মাছের ঘেরের পানি সরবরাহের জন্য প্রায় ৮ থেকে ১০টি নায়েন্টি বসানো আছে। এই নায়েন্টির কারণে চরে ঘোল পড়ে মাটির ধ্বস নেমে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত অবৈধ উপায়ে পানি উত্তোলনের এই নায়েন্টি অপসারণ করা না হলে কোন অবস্থাতেই ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।
এলাকাবাসী এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version