কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে দলিল লেখক সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব দুর্নীতির ঘটনা তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগদহা গ্রামের আজিবার মোড়লের ছেলে দলিল লেখক সাহিদুজ্জামানের নিকট একই গ্রামের মশিয়ার রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর তার আপন ভাইয়ের নামে একটি জমি দলিল করার জন্য যান। দলিল লেখা ও স্বাক্ষর করা হয়ে গেলে দলিল লেখক সাহিদুজ্জামান মূল পর্চা ও খাজনার মূল কপিহীন দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠায়। কিন্তু মূল কপি ছাড়া রেজিস্ট্রি না হওয়ায় পুনরায় বাড়ি থেকে মূল পর্চা ও খাজনার মূল কপি আনলে রেজিস্ট্রি হয়। পরবর্তীতে জানা যায় দলিল লেখক সাহিদুজ্জামান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মশিয়ার রহমানের পরিবারের শত্রæদের নিকট দলিলের নকল ও মূল পর্চা তুলে দিয়েছে। এ ঘটনায় মশিয়ার রহমান দলিল লেখক দুর্নীতিবাজ সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ইতোপূর্বে সাহিদুজ্জামান একজনকে নানা সাজিয়ে একটি ভুয়া দলিল করে। বিষয়টি নিয়ে কেশবপুর জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সাধারণ মানুষ ঘটনাটি জানতে পেরে দুর্নীতিবাজ দলিল লেখক সাহিদুজ্জামানকে ধিক্কার জানায়। এছাড়াও জমির নামপত্তন করার জন্য দলিল প্রতি পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় সে। এ ঘটনায় তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানাকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
অভিযুক্ত দলিল লেখক সাহিদুজ্জামানের নিকট ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন এধরনের কোন ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দলিল লেখক সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। খুব তাড়াতড়ি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান জানান, দলিল লেখক সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেশবপুরে দলিল লেখক সাহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/