Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জন

শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে দুপুর থেকে আনন্দ উৎসবের মধ্যে কালিগঞ্জ উপজেলার মণ্ডপে মণ্ডপে চলে সিঁদুর খেলা। হিন্দু নারীরা প্রতিমার সিথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়াসহ নিজেরা একে অপরের মধ্যে সিঁদুর পরিয়ে দেয়া, মিষ্টি বিতরণ আর ঢাক ঢোলের তালে নেচে গেয়ে উৎসব করতে থাকে। শঙ্খ, উলু ধ্বনি আর ধর্মীয় গানে প্রতিটি মণ্ডপ পরিণত হয় মিলন মেলায়। চোখের পানি ফেলে দেবীকে বিদায় জানিয়েছে ভক্তবৃন্দ।
এদিকে, প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁকশিয়ালী, ইছামতি ও কালিন্দী নদীর বুকে নিজ নিজ দেশের পতাকা নিয়ে নামতে শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক ইঞ্জিন চালিত বোট, কার্গো ও ছোট নৌকা। নিজ দেশের জলসীমায় চলাচলকারী এসব নৌকার প্রতি কঠোর নজরদারী ছিলো বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে, সংগীতের মুর্ছনায় নেচে গেয়ে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে উপস্থিত হতে থাকেন। একই সাথে সঙ্গে আসা ভক্ত এবং বিভিন্ন ধর্মের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিমা বিসর্জনে শামিল হন।
ঢোল, বাঁশি বাদ্যের তালে তালে ‘মা দুর্গা কি জয়’ এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে কাঁকশিয়ালী, ইছামতি ও কালিন্দী নদীর বুক। সন্ধ্যার পর উভয় দেশের সীমান্তবর্তী মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় আঁতশবাজি উৎসব। এসময় এক আনন্দ মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কালিগঞ্জ সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব হোসেন, বিজিবি’র কোম্পানি কমান্ডার ও উকশা ক্যাম্পের সুবেদার আছলাম হোসেন, বসন্তপুর ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ বছর ৪৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার ৪৭টি ম-পের প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রোববার নলতার কালীবাড়ি ও দক্ষিণ শ্রীপুরের গোবন্দকাটি পূজা মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version