Site icon suprovatsatkhira.com

কপিলমুনিতে ফুটপাত দখলের অভিযোগ

কপিলমুনি প্রতিনিধি: কপিলমুনিতে কংক্রিটের তৈরী পালহাটা নামক সড়কের ফুটপাত দখলের অভিযোগ উঠেছে। ফলে রাস্তার প্রবেশ মুখ সংকুচিত হওয়ায় বাজারে যানবাহন নিয়ে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর বাজারের সরকারি খাস সম্পত্তি ও প্রকাশ্যে রাস্তা দখলের পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় নায়েবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালীরা বাজারের অলি-গলিতে অবস্থিত রাস্তার ফুটপাত দখল করছে। একই সাথে দখল করা হচ্ছে বাজার অভ্যন্তরের সরকারি খাস সম্পত্তি। ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বর্তমান প্রেক্ষাপটে খাস জমি ও জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দখল প্রক্রিয়া এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে, যা কপিলমুনি বাজারকে গ্রাস করে ফেলেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এলাকাবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজারসহ বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ বাইপাস কংক্রিট সড়কের পাশে থাকা সরকারের কোটি-কোটি টাকা মূল্যের খাস সম্পত্তি যে যার মত দখল করে পাকা ইমারত তৈরী করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ যেন সরকারি সম্পত্তি দখলের মহোৎসব। আবার অনেকে দখল বজায় রাখতে বাশেঁর রেলিং দিয়ে ঘেরা বেড়া করে নিজেদের দখলে নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে দখল অব্যাহত থাকলেও কপিলমুনি তহশীল অফিসের তহশীলদার অজ্ঞাত কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বা করতে দেখা যায়নি। ফলে প্রতিনিয়ত দখল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে খুলনা-পাইকগাছা মেইন সড়ক ও কংক্রিটের তৈরী পাল-হাটা সড়কের রাস্তাটির ফুটপাতের জায়গা প্রকাশ্যে দিবালোকে স্মৃতি টেলার্সের মালিক আমির হোসেন ও বিশ্ব সাধু দখল করতে দ্বিধা বোধ করেনি।
সম্প্রতি আরো দেখা গেছে, কপিলমুনি এলাকার বিদ্যুৎ সাধুর পুত্র ক্ষিতিশ সাধু কপোতাক্ষের চরভরাটি সরকারি খাস সম্পত্তি দখল নিতে বিগত কিছুদিন পূর্বে সেখানে বাঁশ ও এলবেস্টার টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মাণ করে রেখেছিলেন। তখন স্থানীয়রা বিষয়টি কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েবকে অবহিত করলে তিনি সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। কিন্তু অদ্যাবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করার সুযোগে ক্ষিতিশ সাধু দখলকৃত জায়গার উপর নির্মিত ঘরে চাচের বেড়া দিয়ে চায়ের দোকান বসিয়েছেন।
জানা যায়, বাজার প্রতিষ্ঠায় রায় সাহেব বিনোদবিহারী নিজের যে সম্পত্তি বাজারের নামে দান করেছিলেন, পর্যায়ক্রমে আজ তা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েবের অবহেলাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে কপিলমুনি ভূমি অফিসের তহশীলদার জাকির হোসেন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর আমি সাক্ষীর কাজে কপিলমুনির বাইরে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নাই। এখন যখন অবগত হয়েছি আমি দেখব। আর স্মৃতি টেলার্সের বিরুদ্ধে রাস্তার ফুটপাত দখল করার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version