জি এম মোস্তাক আহমেদ, কপিলমুনি: কপিলমুনি ভূমি অফিসের তহশীলদার জাকির হোসেনের অবহেলায় বাজার অভ্যন্তরের সরকারি খাস সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এমতাবস্থায় কপিলমুনি ভূমি অফিসের তহশীলদার জাকির হোসেনের দুর্নীতি তদন্তে স্থানীয় এলাকাবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি এলাকার বিদ্যুৎ সাধুর পুত্র ক্ষিতিশ সাধু কপোতাক্ষের চরভরাট করে সরকারি খাস সম্পিত্তি দখল নিতে সেখানে বাঁশ ও এলবেষ্টার টিনের ছাউনি দিয়ে প্রথমত ঘর নির্মাণ করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েবকে অবিহিত করলে তিনি সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। কিন্তু অদ্যবধি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করার সুযোগে ক্ষিতিশ সাধু দখলকৃত জায়গার উপর নির্মিত ঘরে চাচের বেড়া দিয়ে চায়ের দোকান বসিয়েছেন।
বিশেষ করে কপোতাক্ষ নদীর পাশ দিয়ে নির্মিত বাইপাস কংক্রিট সড়কের পাশের ও বিভিন্ন সড়কের নিকটবর্তী সরকারি সম্পত্তি ও বাজারের ভেতরের এমনকি বাজার চাঁদনির অভ্যন্তরে ডিসিআর মূলে ইটের তৈরি দোকান ঘর নির্মাণেরও ঘটনা রয়েছে। জমির খাজনার দাখিলা কাটতে বহু গুণ অর্থ আদায়, নাম পত্তনে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ ও বিভিন্ন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে তিনি মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রদান করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে কপিলমনি বাজারের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত কপোতাক্ষের চরভরাট জায়গা যে যার মত দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করলেও অজ্ঞাত কারণে কপিলমুনি ভূমি অফিসের নায়েব কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যার ফলে প্রতিনিয়ত দখল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে খুলনা-পাইকগাছা মেইন সড়ক ও বাজারের পাল-হাটা সড়কে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহারিত ফুটপাতের জায়গায় ঢালাই দিয়ে স্মৃতি টেলার্সের মালিক আমির হোসেন দখলে নেওয়ায় নতুন করে ভূমি নায়েবের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
এলাকাবাসী ও সচেতন মহল কোটি টাকা মূল্যের সরকারি এসব খাস সম্পত্তি উদ্ধার ও ফুটপাত দখল প্রক্রিয়া বন্ধে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পাশাপাশি কপিলমুনি তহশীল অফিসের তহশীলদার জাকির হোসেনের দুর্নীতি তদন্তে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সরকারের সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, যদি কোন ব্যক্তি সরকারি খাস সম্পত্তি দখল করে ঘর নির্মাণ ও জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দখল করে থাকে তাহলে আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কবে কপিলমুনি ভূমি অফিসের তহশীলদার জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার পরও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কপিলমুনিতে নায়েবের অবহেলায় দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি সম্পত্তি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/