ডেস্ক রিপোর্ট: কলারোয়ায় চোরাকারবারীদের দড়ির ফাঁদে আটকে সীমান্তবর্তী সোনাই নদীর পানিতে ডুবে মারা গেছেন বিজিবির ল্যান্স নায়েক রফিকুল ইসলাম (৩৫)। শনিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ভাদিয়ালী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ল্যান্স নায়েক রফিকুল ইসলাম কাকডাঙ্গা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। সম্প্রতি তিনি কাকডাঙ্গা ক্যাম্পে যোগদান করেন।
এদিকে, রোববার দুপুর ১২টায় বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে রফিকুল ইসলামের জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার, আরআইবি যশোরের ব্যুরো চিফ লে. কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি পরিচালক হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার জানান, শহীদ ল্যান্স নায়েক রফিকের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারকে বিজিবির নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, পরবর্তীতে আরও দেওয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। যথা উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ল্যান্স নায়েক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের চোরাকারবারীরা নদীর পানির নিচ দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য দড়ি বেধে রাখে। এই পাশের পণ্য দড়িতে বেধে সেই দড়ি ওই পাশে টেনে নেয়া হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদিয়ালীর ১নং পোস্টের ১৩/৩ ৬ আরবি’র সন্নিকটে সোনাই নদীর ধারে টহলরত অবস্থায় চোরাকারবারীদের তাড়া করে তাদের পণ্য উদ্ধার করতে গিয়ে পণ্যবাধা দড়ি ধরে ফেলেন কাকডাঙ্গা বিওপির ল্যান্স নায়েক রফিক। এ সময় ভারতের পাশ থেকে সেখানকার চোরাকারবারীরা ভারতের দিকে দড়ি ধরে ওই পাশে টান দেন। বিজিবি’র কর্তব্যরত রফিকও দড়ি ধরে বাংলাদেশের দিকে টানতে থাকেন। তখন দড়িতে আটকে নদীর মাঝে ভেসে যান তিনি। এসময় পানিতে ডুবে তার মুত্যু হয়।
সীমান্তের সোনাই নদীতে চোরাকারবারীদের পাতা ফাঁদে আটকে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/