Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরা-৪: পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও নদী বন্দর স্থাপন করতে চাই

শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ:
শেখ আতাউর রহমান। ১৯৬৯ সালে দায়িত্ব পালন করেছেন খুলনা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে তিন ভাই একসাথে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধের পর দেশ সেবার জন্য পুলিশ বাহিনীতে চাকরি গ্রহণ করেন। এছাড়াও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য তিনি।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ আতাউর রহমান সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
সংসদীয় আসনের বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনা আর দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র সাথে।
তিনি বলেন, আজীবন আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। বর্তমানে শ্যামনগর কালিগঞ্জের সাধারণ মানুষের মাঝে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রচার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার বিচারের রায় কার্যকরে বাকী আসামিদের ফিরিয়ে এনে ফাসি কার্যকর করার দাবি এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জনসচেতনতামূলক কাজে অংশ নিয়েছি। ২০১৩ সালে জামায়াত-বিএনপি যে সহিংসতা চালিয়েছিলো সেসবের ভিডিও চিত্র শ্যামনগর-কালিগঞ্জের প্রতিটি গ্রামে গিয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরেছি। দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রামে গ্রামে গিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সরকারের পক্ষে নৌকার জন্য জনমত তৈরির কাজ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবছর যে ভাতা দেয় সেগুলো কে দিচ্ছে এ অঞ্চলের গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ তা জানতো না। তারা মনে করতো এগুলো বিভিন্ন এনজিও দিয়ে থাকে। আমি গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে এসব বিষয়ে তাদের সচেতন করেছি। আমার দল আমাকে মনোনয়ন দেবে এই বিশ্বাস আমার রয়েছে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগে বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে- এটাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বা মতবিরোধ তৈরি হয়েছে- এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি মুক্তিকামী মানুষের কল্যাণে যুদ্ধ করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করি। ১৯৭১ সালে একটি পতাকার জন্য নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। যুদ্ধের পর দেশ সেবার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছি। দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরির সুবাদে সাধারণ মানুষের সাথে কাটিয়েছি। তাই আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার আদর্শকে নিয়ে আমি সবার হৃদয়ের কথাগুলো শুনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সকল ভেদাভেদ দূর করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন ধরণের বিরোধ দেখতে চাই না।
বর্তমানে সাতক্ষীরা-৪ আসনের মানুষের দুর্ভোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ সুপেয় পানির সমস্যায় ভুগছে। এছাড়া আইলা বিধ্বস্ত অসহায় নিরীহ জনসাধারণের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবনের গাঁ পর্যন্ত রাস্তার ভগ্নদশার কারণে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। আমি নির্বাচনে জিততে পারলে এসব সমস্যার সমাধান দিতে পারবো বলে আশা করি।
দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করলে কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে চান- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত, আমি আমার হৃদয়ের সব আবেগ ও অনুভূতি দিয়ে আলোকিত সাতক্ষীরা গড়ার জন্য তিলোত্তমা কালিগঞ্জ ও রূপসী শ্যামনগর গড়ার স্বপ্ন দেখি। দ্বিতীয়ত, আমি স্বপ্ন দেখি নির্যাতিত নিপীড়িত জনগণের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার এবং মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম মুক্ত একটি আলোকিত সাতক্ষীরা। তৃতীয়ত, কালিগঞ্জের বসন্তপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদীতে নদী বন্দর চালু ও শ্যামনগরের রূপসী সুন্দরবনকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখি। এসব স্থানে এই এলাকার হাজার হাজার বেকার যুবক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version