Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরা-৪: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করবো

আরিফুল ইসলাম রোহিত:
এইচএম গোলাম রেজা। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এই নেতা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতাও করেছেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালে যোগ দেন জাসদের রাজনীতিতে। পরে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি গঠিত হলে ১৯৮৪ সালে যোগ দেন জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট গঠনের সময়ও।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি। এ ব্যাপারে কথা বলেছেন দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র।
তিনি বলেন, আমি এই এলাকার মানুষের কাছে আজ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। তারাই আমাকে নির্বাচনে চাই। কারণ রাজনীতিতে আমার পদচারণা হয়নি এমন কোন দায়িত্ব নেই। আমি জাতীয় পার্টির সকল কাজ করেছি। রাজনীতিতে আর তো বেশি আগাবার পথ নেই। তাই মাঝে মাঝে উত্থান-পতন হয়েছে। সকল ক্রান্তিলগ্নে আমি রাজনীতির সাথে থেকেছি। আমি দেশের রাজনীতিতে অনেক বড় অবদান রেখেছি। তাই এই এলাকার মানুষ আমাকে চাইছে। অন্যান্য নেতাদের দেখে তারা আজ আমাকে নিয়েই ভাবছে। আমি বিশ্বাস করি আমাকে মনোনয়ন দিলে বিজয় সুনিশ্চিত।
কোন কোন সমস্যাগুলো আপনার আসনের মানুষকে এখনো ভোগাচ্ছে- এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এলাকার মানুষ সহজ-সরল। তারা শান্তিতে থাকতে চাই। কিন্তু বর্তমানে এই এলাকার মানুষ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে টাকা নিতে নিতে তাদেরকে ফকির করে ফেলা হয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মানুষের কাছে প্রচার না করে মানুষের কাছ থেকে টাকা কালেকশন শুরু করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সাথে যারা রাজনীতি করেছে তারা কখনো মানুষের কাছ টাকা নিয়ে কাজ করতো না। বরং মানুষের উপকারে বিনা পয়সায় কাজ করে দিয়েছে। আর কিছু মানুষ আজ আওয়ামী লীগ নামধারী কিন্তু কখনোই আওয়ামী লীগ তাদের জন্য হতে পারে না। কারণ তাদের কর্মকা- যদি শেখ হাসিনা জানতো তবে কখনোই তাদেরকে দলে রাখা হতো না। মানুষ ঘরছাড়া হয়ে যাচ্ছে। দু’চারজনের জন্য আজ আওয়ামী লীগের দুর্নাম হচ্ছে। মানুষের প্রতি নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এটাই তাদের বড় কষ্টের কারণ। কিন্তু আজ মানুষ বসে আছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায়। তারা ব্যালটেই এই নির্যাতনের শোধ তুলবে।
মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে সাতক্ষীরা-৪ আসনের কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত আমি শিক্ষা খাতে উন্নয়ন করবো। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে কোন ধরণের দুর্নীতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে কাজ করবো। কোন নিয়োগ বাণিজ্য হতে দেব না। এটাই আমার প্রথম উন্নয়ন। আমার এলাকার অনেক সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন। সেই সকল সড়ক সংস্কার করে আমি আমার এলাকাকে আরও বেশি গতিশীল করতে চাই। একই সাথে শ্যামনগরে একটি বাস টার্মিনাল তৈরির কাজ কিছুটা করা হয়েছে। বাকিটুকু শেষ করা হবে। আমার এলাকায় পানির সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নেবো। যেন এই এলাকার মানুষ একটু সুপেয় পানি অন্তত ভালোভাবে পায়।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version