ফাহাদ হোসেন:
তারিকুল হাসান। ১৯৮৭ সালে এসএসসির পর খুলনা বিএল কলেজে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। দায়িত্ব পালন করেছেন খুলনা জেলা ছাত্রদলের পত্রিকা সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক পদে। পরে আশাশুনি উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালন করেছেন দরগাপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক হিসেবেও। ছিলেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। পরে সাতক্ষীরা জেলা তাতীদলের সাধারণ সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে মনোনীত হন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি কথা বলেছেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরার সাথে।
তিনি বলেন, তিনি দলের বিশ্বস্ত কর্মী। দলীয় আদর্শে তিনি অত্যন্ত অনুগত, পাশাপাশি নেত্রীর সর্বশেষ ডাক ‘মানুষ বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ আন্দোলনের সক্রীয় কর্মী হিসেবে রাজপথে থাকার কারণে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
দলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী আছে, এটাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বা মতবিরোধ তৈরি হতে পারে- এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আমাদের দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, যে ব্যক্তি ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে আসবে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তার সাথেই কাজ করব। আমরা সকলে প্রত্যাশা করি মানুষ যেন নিজের ভোটটা দিতে পারে।
বর্তমান সময়ে মানুষের ভোগান্তি নিয়ে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার মানুষের প্রধান সমস্যা এটাই যে, মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছে না। আইনের শাসন নেই। মানুষ নির্বিঘেœ তার আশ্রয়স্থলে পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারছে না। একটা মানুষ চিকিৎসার জন্য গরু বিক্রয় করলেও সেটা দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছে না, তার টাকাটা অন্য কাউকে দেয়া লাগছে।
মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হলে কোন কাজগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে এলাকাবাসীর জন্য করতে চান জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত, বাণিজ্যিক দিকটা গুরুত্ব দিয়ে ভোমরা পোর্টটা আরো আধুনিকায়ন করতে চাই। দ্বিতীয়ত, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন করা হবে। তৃতীয়ত, সাতক্ষীরায় শিল্প নগরী গড়ে তোলা সম্ভব। টেক্সটাইল মিল সচল করা হবে । আরো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য। সর্বোপরি দারিদ্র্যমুক্ত দৃষ্টিনন্দন সাতক্ষীরা উপহার দিতে চাই।