Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরা-২: জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান, দৃষ্টিনন্দন শহর ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে কাজ করবো

গাজী আসাদ: আসাদুজ্জামান বাবু। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ৯০ দশকের সাবেক এই ছাত্রনেতা ১৯৯০ সালে প্রজন্ম ৭১-এর সাতক্ষীরা জেলা যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। ১৯৯২ সালে যশোরের নওয়াপাড়া কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করেন। ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ছাত্র সংসদের জিএস পদে নির্বাচন করেন। ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এবং ২০০৬ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভোটে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি প্রসঙ্গে দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে রাজনীতি করি। এটাই আমার প্রধান পরিচয়। আমি আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছি সব সময়। ২০১৩ সালে জামায়াত-বিএনপির সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীর পাশে থেকেছি। সব সময় খোঁজখবর নিয়েছি। তাদের সাহায্য করেছি। অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতাসহ তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করেছি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে ছিলাম ও আছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে স্কুল-কলেজে ছুটে গেছি। দলীয় অস্বচ্ছল নেতা-কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সাহায্যের ব্যবস্থা করেছি। বিপদে-আপদে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি সব সময়। বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে সদর উপজেলার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। আর একারণে আমি মনে করি দলের হাই কমান্ড আমাকে মনোনয়ন দেবেন।
দলে বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন, এটাকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বা মতবিরোধ তৈরি হচ্ছে- এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে দলের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব, রাগ বা মতবিরোধ থাকবে না। সকল নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে কাজ করবে। তাছাড়া আমি তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছি, তাদের ভোট একাদশ নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে, তাই আমি আশাবাদি আমি মনোনয়ন পেল জয় লাভ করবো। এছাড়া দলীয় মনোনয়ন যেই পাক কেন আমরা সবাই এক সাথে থেকে কাজ করে তাকে বিজয়ী করবো। নৌকাকে বিজয়ী করে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করবো এবং দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে তার ধারা অব্যাহত রাখবো।
দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচনে জয়লাভ করলে কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলাকার মানুষের জন্য আগে করতে চান- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাতক্ষীরাতে বিশেষ করে আমার নির্বাচনী এলাকায় জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। তাই প্রথমত এই সমস্যাটি সমাধানে কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। তাই উন্নয়নে যে বরাদ্দ থাকবে তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চাই। সাতক্ষীরার বড় একটি সমস্যা হচ্ছে শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খাল। এটাকে খনন করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দখল মুক্ত করতে চাই। প্রাণসায়ের খাল খননের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন শহর গড়ে তুলতে চাই। এখানে গড়ে তুলতে চায় একটি শিশু পার্ক। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এই সরকারের আমলে পর্যাপ্ত উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু, তার যথাযথ ব্যবহার বা কাজ হচ্ছে না। আমি নির্বাচিত হলে সদর হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। সাতক্ষীরা থেকে মাদক নির্মূল করে খেলাধুলার মান উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
বর্তমানে কোন সমস্যাটির জন্য আপনার নির্বাচনী এলাকার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে- এমন প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, সাতক্ষীরা সদরের মানুষের মূল সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এটা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। কিন্তু আজও সমাধান হয়নি। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরা শহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে দীর্ঘ মেয়াদে জলাবদ্ধ থাকে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করবো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version