মোজাহিদুল ইসলাম, কলারোয়া: শখের বসে মাল্টা বাগান করে চমক সৃষ্টি করেছেন কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের আকতারুল ইসলাম (৩৫)। পরপর দু’বার বিদেশে যাওয়ায় চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শুরু করেন কাঠের ব্যবসা। এরপর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সর্বপ্রথম কলা এবং ফলের বাগান করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। প্রথমে তিনি বাউকুল চাষে সফলতা পেয়েছিলেন।
আকতারুল ইসলাম জানান, প্রথমে মূলত শখের বসে মাল্টা বাগান করেছি। দু’বার আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ি। পরে দেশের উন্নয়ন, বিদেশি ফল পরিত্যাগ ও ফরমালিন মুক্ত ফল উপহার দেওয়ার জন্য মাল্টা চাষ শুরু করি। ২০১৬ সালে বরিশালের নাজিরপুরে মাল্টার বাগান দেখে ইচ্ছা হয় মাল্টা চাষের। ওই বছরই কাঠ ব্যবসার সব টাকা দিয়ে বারী-১ জাতের ১ হাজার ৫টি মাল্টার চারা ৬ বিঘা জমিতে রোপন করি। মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে ফল ধরা শুরু করে। প্রতিটি মাল্টা গাছে এখন ৭০-৮০টি করে মাল্টা ঝুলছে। এই মাল্টা খেতেও বেশ সুস্বাদু। বছরের ৮ মাস গাছে মাল্টা থাকবে এবং এই ৮ মাসে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ৩০-৩৫ কেজি মাল্টা পাওয়া যাবে। গত তিন বছরে গাছের চারা ও ফল বিক্রি করে যাবতীয় খরচ বাদে ২ লক্ষাধিক টাকা বাৎসরিক লাভ পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছি। সে জন্য আগামী বছর থেকে আরও কয়েক একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে মাল্টা চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও সংসার চলছে উৎপাদিত মাল্টা ও মাল্টার চারা বিক্রি করে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহাসীন আলী জানান, ২০১৬ সালে কলারোয়ায় আক্তারুল সর্বপ্রথম মাল্টা চাষ শুরু করে। আক্তারুল ইসলাম ছাড়াও বর্তমানে ৪-৫ জন চাষী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ১২-১৪ বিঘা জমিতে মাল্টার চাষ করছেন। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে মাল্টা গাছ অনেক দিন বাঁচে এবং ফল পাওয়া যায়। সাধারণত চৈত্র-বৈশাখে ফুল আসতে শুরু করে। আমাদের দেশের আবহাওয়াতে এটি চাষ উপযোগী।
মাল্টা চাষে সফল কলারোয়ার আক্তারুল
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/