মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরের ঝাঁপা গ্রামে মঞ্জু খাতুন (৩০) নামে দুই সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে স্বামী বাবলু হোসেন গলা টিপে হত্যা করেছেন। বাবলু মালয়েশিয়া প্রবাসী। অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কজনিত কারণে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে মঞ্জু খাতুনের স্বজনরা দাবি করছেন। এই ঘটনায় স্বজনরা হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মঞ্জুর চাচাতো ভাই আবুল কালাম জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে ঝাঁপা মিস্ত্রিপাড়ার রাজ আলীর ছেলে বাবলু হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় একই গ্রামের বাগাডেঙিপাড়ার জমশেদ মোড়লের মেয়ে মঞ্জু খাতুনের। জিহাদ (১১) ও লামিয়া (৮) নামে ওই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর পরকীয়া নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় কাজের সন্ধানে যান বাবলু। কিন্তু সংসারের অশান্তি কমেনি। এই পর্যন্ত ৭-৮ বার বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য শালিসও হয়েছে। মাস দুয়েক আগে বিদেশ থেকে ফিরে শালিসের মাধ্যমে মঞ্জুকে ঘরে তোলেন বাবলু।
আবুল কালামের অভিযোগ, পাড়ার একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে বাবলুর। এই কারণে সোমবার বিকেলে ছেলে জিসান ও বাবা-মাকে মাঠে পাঠিয়ে দিয়ে মঞ্জুকে গলাটিপে হত্যা করে সে। বিষয়টি চাপা দিতে মেয়ে লামিয়াকে নিয়ে বাবলু রাজগঞ্জ বাজারে যায়। সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আশপাশের লোকের কাছে প্রচার করে মঞ্জু স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমাদেরকেও একই কথা বলে ফোন করে বাবলু।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুনেছি সোমবার বিকেলে বাবলু তার ছেলেটিকে সাথে নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে গেছে। তখন মঞ্জু খাটের ওপর শুয়ে ছিল। পরে সে নিচে পড়ে যায়। এসময় পাশের তিন নারী এসে মঞ্জুকে ধরেন। তাদের হাতের ওপরই মঞ্জুর প্রাণ গেছে বলে তারা জানিয়েছে।
জানতে চাইলে ঝাঁপা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, ‘লাশের গলার কাছে একটা লালচে দাগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
মণিরামপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/