Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরের হোগলাডাঙ্গা ঋষিপল্লীতে এক গৃহবধূকে (৩৩) হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
অভিযুক্তরা হলেন, হোগলাডাঙ্গা গ্রামের বুদো সরদারের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৪০), কাজিরগাঁ এলাকার মৃত কেদার আলী গাজীর ছেলে মোস্তফা (৪৫), ওই এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি এক রাতে তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। ওই রাতে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠলে নাজিম, মোস্তফা ও রেজাউল তাকে ধরে টয়লেটের সামনে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মোস্তফা ওই নারীর হাতে কামড়ে দেয়। বিষয়টি কাউকে জানালে অভিযুক্তরা ওই নারীকে আবারো ধর্ষণের হুমকি দেয়।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ আরো বলেন, আমার স্বামী ভ্যান চালায়। ওরা আমাকে হুমকি দিয়ে গেছে, বিষয়টি জানা জানি হলে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে হত্যা করবে।
এদিকে, গত রোববার রাতে ওই পল্লীর আরেক নারীকে অচেতন করে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত নাজিমের বিরুদ্ধে। রাত নয়টার দিকে গোপনে ওই নারীর বাড়িতে ঢুকে সে রান্না করা তরকারিতে ঘুমের ওষুধ দেয়। কিন্তু ওষুধ দেওয়ার আগেই রাতের খাবার সেরে ফেলে পরিবারটি। টার্গেট অনুযায়ী রাত আড়াইটার দিকে বাড়ির বারান্দায় শুয়ে থাকা ওই নারীর মশারির ভেতরে ঢোকেন নাজিম। তখন ওই নারী টের পেয়ে গেলে নাজিম পালিয়ে যায়। পরে সকালে ভাত খেতে গিয়ে তরকারি বিবর্ণ দেখে ওই পরিবারের সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা জানান, নাজিম ঋষিপল্লীতে সুদের কারবার করে। সেই সুবাদে ওই পল্লীতে তার অবাধ বিচরণ। রোববার সন্ধ্যারাতে তারা নাজিমকে ওই নারীর স্বামীর দোকানে বসে বাটখারা দিয়ে ওষুধ গুঁড়ো করতে দেখেন। সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে তারা নিশ্চিত হন, নাজিমই তরকারিতে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়েছে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে একটি চক্র।
এদিকে, ঋষিপল্লীর অপর এক নারীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নাজিমের ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হলে মুখ খোলেন গণধর্ষণের শিকার ওই নারী। তিনি সেই রাতের ঘটনা তার স্বামীসহ স্বজনদের জানান। পরে মঙ্গলবার সকালে মামলা করতে ওই নারীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসেন তার স্বামী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিপদভঞ্জন পাড়ে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনা জানার পর ওই নারীকে থানায় মামলা করতে পাঠিয়েছি।
মণিরামপুর থানার ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাবার পর আসামি গ্রেফতার করতে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version