Site icon suprovatsatkhira.com

ভোমরা বন্দরে শ্রমিকদের মজুরির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: ভোমরা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং ১৭২২) এর সভাপতি কওছার আলি ও ভোমরা বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং ১৯৬৪) এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রঞ্জুর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের মজুরির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য নয় এমন দেড়শতাধিক ব্যক্তিকে বন্দরের কাজে নিয়োজিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে।
শ্রমিক ইউনিয়ন দুটির সদস্য অহেদ আলি, অজেদ আলি, সাইফুল, রউফ, কামরু, কবির, হোসেনসহ একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়োজিত শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিমাসে ভারতীয় ট্রাকপ্রতি ২২০ টাকা হারে শ্রমিকদের মজুরী (টনের টাকা) পরিশোধ করেন। ভোমরা স্থলবন্দরে শ্রমিকদের মজুরী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ থেকে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো সর্বোচ্চ শতকরা ২০ টাকা হারে কমিশন নিলেও কওছার আলি ও সাইফুল ইসলাম রঞ্জু অনৈতিকভাবে টনের টাকা থেকে শতকরা ৩০ টাকা হারে কমিশন নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, গত আগস্ট মাসে এক হাজার চারশ ভারতীয় ট্রাকের কাজ বাবদ ঠিকাদার প্রদত্ত তিন লক্ষ আট হাজার টাকা থেকে শতকরা ২০ টাকা হারে অফিস কমিশন বাদ দিয়ে শ্রমিকদের নীট মজুরী পাওনা হয় দুই লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার চারশ টাকা। যা ৫৫টি দলে ভাগকরে প্রতিটি দলের পাওনা হয় চার হাজার চার শত আশি টাকা। অথচ প্রত্যেক দলকে দেওয়া হয়েছে তিন হাজার দুইশত টাকা। একইভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে এক হাজার সাতশ ভারতীয় ট্রাকের কাজ বাবদ ঠিকাদার প্রদত্ত তিন লক্ষ চুহাত্তর হাজার টাকা বাবদ প্রতিটি দলের প্রাপ্য হয় পাঁচ হাজার পাঁচ শত চল্লিশ টাকা। অথচ কওছার আলি ও সাইফুল ইসলাম রঞ্জু প্রতিটি দলকে মাত্র তিন হাজার আটশ টাকা পরিশোধ করেছেন।
টাকা কম দেওয়ার বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশ্নের জবাবে কওছার আলি খুলনা শ্রম পরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ একাধিক নেতাকে টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
নির্বাচনে জয়লাভের পর এই দুই নেতা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য নয় এমন দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে বন্দরের কাজে নিয়োজিত করায় সদস্য রেজিস্ট্রারভুক্ত প্রকৃত শ্রমিকরা ঠিক মত কাজ পাচ্ছে না। এতে যে আয় হচ্ছে তাতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, অবৈধ শ্রমিকদের কাজ বন্ধের কথা বললে কওছার আলি উল্টে তারই কাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে থাকেন। শ্রমিকদের একদিনের কাজের টাকা পরবর্তী দিন পরিশোধের নিয়ম থাকলেও এই দুই নেতা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে শ্রমিকদের ১২-১৩ দিনের মজুরীর টাকা বিভিন্ন অজুহাতে আটকে রাখেন।
এ ব্যাপারে শ্রমিকরা বন্দর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version