Site icon suprovatsatkhira.com

ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ক্রয়কৃত জমি জবর দখলের অভিযোগ, অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী

ডেস্ক রিপোর্ট: বিক্রিত জমির উপর ভাড়াটিয়া কর্তৃক অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ ও মিথ্যা মামলা দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না নাজিরা বেগমের। স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে নাজিরা বেগমের নির্মাণকৃত ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে এলাকাবাসী।
সুলতানপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল হক জানান, সুলতানপুর গ্রামের মৃত শফিউর রহমান ওরফে মিলনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও তার দুই কন্যার নিকট থেকে তিনি ২০১৫ সালের ৭ জুন ১০ শতক জমি ৪৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের সময় জমিতে দুইটি কামরাঘর ও একটি টিনের ঘর ছিল। উক্ত ঘরে আশাশুনি উপজেলার আব্দুল অহিদ ভাড়া থাকতো। তিনি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী নাজিরা বেগম দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতো। জমি ক্রয়ের পর জিয়াউল হক ভাড়াটিয়াদের অন্যত্র চলে যেতে বললে তারা তালবাহানা করতে থাকে। এরমধ্যে সুচতুর নাজিরা ৫ শতক জমি দাবি করে সদর সহকারি জজ আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৬৬/১৫ ও ১৯৯/১৫। মামলা দুটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক খারিজ দেন।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে নাজিরা বেগম জাল দলিল সৃষ্টি করে কলিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ২৪৪৮/৬০ ও আশাশুনির ২০২২/৬৭ নং ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে আদালতে দাখিল করে। তিনি দলিল ভুয়া বলে চ্যালেঞ্জ করলে আদালত খারিজ করে দেয়। ভুয়া দলিল দিয়ে নাজিরা বেগম একই আদালতে দেওয়ানি ৮৯/১৭ নং আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জাল দলিলের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক বাদী হয়ে নাজিরা বেগম ও তার দুই কন্যার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং সিআর ২১৩/১৭। জিয়াউল হক আরও বলেন, নাজিরা বেগম জাল দলিল সৃষ্টি করে শুধু হয়রানি করছে না, সে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ৯৯৫ ও ৬৭৫ নং জিডি করেছেন।
জিয়াউল হক আরও বলেন, সুচতুর নাজিরার স্বামী স্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করলেও আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য তৎকালিন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ক্ষেত্র সহকারির নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলটি খারিজ হয়ে যায়।
জিয়াউল হক আরও বলেন, নাজিরা বেগমের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। থানা থেকে উভয়পক্ষকে নোটিশ করা হলে নাজিরা বেগম কোনদিন থানায় আসেননি। থানায় না এসে তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানি করে চলেছেন।
এ ব্যাপারে নাজিরা বেগম বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে। তারা জোর পূর্বক আমার জমি দখলের চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version