জি.এম মোস্তাক আহমেদ, কপিলমুনি: কপিলমুনিতে নকল লেবেল, বিষাক্ত ক্যামিক্যালের সংমিশ্রণে তৈরি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ নানা প্রসাধনীতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। বাজারের নামী দামী দোকানগুলোতেও এগুলো অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতারিত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল ক্রেতা সাধারণ। বাড়ছে স্কিন ক্যান্সারসহ জটিল রোগের শংকা। আর এসব ভেজালের ভীড়ে আসল পণ্য খুঁজে নেয়া হয়ে পড়েছে দুঃসাধ্য। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনুমোদনহীন প্রসাধনীতে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার। এতে প্রতারণার শিকার হচ্ছে শিক্ষিত-অশিক্ষিত নারী সমাজ। তারা চুল কালো করা, চুল শক্ত, চুল পড়া বন্ধ করা, মুখ ফর্সা, চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, বিভিন্ন ধরণের দাগ উঠানোর জন্য হরেক রকম বডি লোশন, শ্যাম্পু, কিংবা নামী দামী দেশী বিদেশী প্রসাধনী ব্যবহার করছে। অথচ এসব ক্রেতারা জানে না যে বাজারজাতকারী কস্মেটিকস সামগ্রীর মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই ভেজাল ও ব্যবহারের অনুপযোগী। কিছু প্রসাধনীর তো মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। অথচ এসব নিয়ন্ত্রণে কোন ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কপিলমুনি বাজারের প্রসাধনী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাধারণত কোম্পানির ডিলারদের কাছ থেকে পণ্যদ্রব্য ক্রয় করে থাকি। আমাদের কাছে এসে তারা অর্ডার নিয়ে যায় আবার তারা এখানে (দোকানে) মাল পৌঁছে দেয়। নকল আসল আমরা বলতে পারি না। তবে যেগুলো নকল তা বুঝতে পারলে আমরা ফেরৎ দিয়ে দেই।
নকল প্রসাধনীতে সয়লাব কপিলমুনি বাজার
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/