জি এম মোস্তাক আহমেদ, কপিলমুনি: কপোতাক্ষের ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে। তারপরও থেমে নেই কপোতাক্ষ পাড় সংলগ্ন হাবিবনগর এলাকার নদী ভাঙন। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুতই এই ভাঙন বন্ধ করতে হবে। নতুবা খুব দ্রুত এই জনপদ হারিয়ে যাবে নদীগর্ভে।
এদিকে, ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ মো. নূরুল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী বরাবর ডিও লেটার দিয়ে একই দাবি জানিয়েছেন। তিনি গত ১৪ আগস্ট প্রেরিত ডিও-তে উল্লেখ করেছেন, আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সভ্যতার প্রাচীনত্বের সাথে কপোতাক্ষ গভীর ভাবে যুক্ত। বর্তমান সরকার কপোতাক্ষের অপমৃত্যু ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে খনন কাজ পরিচালনা করছে। ইতিপূর্বে কপোতাক্ষের কপিলমুনি থেকে বালিয়া অংশের খনন কাজ শেষ হয়েছে। বালিয়া থেকে নি¤œগামী অংশের তীব্র ¯্রােতের কারণে পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা, রামনাথপুর, দরগাহমহল, হাবিবনগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার শত শত পরিবার ভিটা মাটি ছাড়া। ভাঙন রোধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে ব্লক স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
ডিও লেটারে আরো উল্লেখ্য করা হয়েছে, নদী পাড়ের মানুষ আমরা। নদীর গতিপথ ও জোয়ার-ভাটার সাথে আজন্ম পরিচয়। এ অঞ্চলের ভাঙন রোধে ব্লক স্থাপনের যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা কোনভাবেই বাস্তব সম্মত নয়। ইতিপূর্বে কয়েকবার ব্লক স্থাপন করে সরকারি টাকার অপচয় হয়েছে। তিনি মামুদকাটির পূর্বভাগ থেকে সিলেমানপুর পর্যন্ত কপোতাক্ষের পুরানো প্রবাহ বরাবর লুব কাটিংয়ের দাবি জানান।
সরেজমিনে ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কপোতাক্ষের অব্যাহত ভয়াবহ ভাঙ্গনে শুধু বাপ-দাদার ভিটা মাটিই নয়, ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, কবর স্থান সহ হাজার হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষ।
এলাকাবাসীর দাবি, চলমান সমস্যা সমাধানে যেন মূল ম্যাপ অনুযায়ী কপোতাক্ষ খনন করা হয়। তাহলে গৃহহীন পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁইটিও হবে নিজ ঠিকানায়। কপোতাক্ষ ফিরে পাবে তার চিরচেনা গতিপথ।
তীব্র ভাঙনে কপোতাক্ষের পেটে চলে যাচ্ছে কপিলমুনির হাবিবনগর
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/