ভেবেছি কত বেলা
এমনি একেলা,
শ্রাবণ ও মেঘের ক্ষণে;
আমি শুধু পড়িয়া রহিনু
দূরাকাশের পানে,
সাগর ডেকেছে তবু
দেয়নি সাড়া কভু
তার আহবানে।
আজ বুঝি সে
অতি গোপনে,
চলিল নির্জনে;
শুধু যাবার বেলায়
বলিয়া গেল-
“আসবো না আর ফিরে,
থেকো তুমি সুখে
তোমার একলা ভূবনে।”
আজ বারোটি বছর পরে
পড়িল তাহারে মনে,
জীবনের অন্তিম লগনে;
সীমাহীন কষ্টে তাহাকে,
পুড়িয়েছি কত না যতনে।
ঐন্দ্রজালিক যোষিতা
মোস্তাফিজুর রহমান
এলোমেলো বিচ্ছিন্ন ছায়াপথে ছুটে চলা,
এই বৈচিত্র্যময় ক্রন্দসীর মাঝে।
আলোক বিন্দু হয়ে দেখা দিলে –
সে তুমি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বিরহিত উত্তাল মাতাল আমি-
দুর্গম গীরিপথ, প্রান্তর, পাথার, প্রশ্রাবণ
সব ছাড়িয়ে হলাম অপ্রকৃতস্থ অমনুষ্যত্ব।
আলোর দিশা, কণিকা হয়ে-
স্থান নিয়েছ এই দর্পণ জগতে।
বাষ্পীয় জগতে ঠাঁই দিয়ে-
হয়েছি আমি বাতুলতার সমতুল্য।।
কে তুমি?
কি ভাবে করে দিলে আমায় পরিভ্রষ্ট?
কোথায় পেলে এই দৈব শক্তি?
দৃষ্টি শক্তির বাইরে তোমার বসবাস,
কল্পনার জগতকে তুমি করেছ-
গত্যন্তর।