Site icon suprovatsatkhira.com

চাচার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: দাদা মুক্তিযোদ্ধা, আর তার মুক্তিযোদ্ধা ভাতার পুরো টাকা হজম করে ফেলছেন চাচা।
বুধবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সদর উপজেলার দক্ষিণ কামার বায়সা গ্রামের জাহাঙ্গির আলম সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। এ সময় তার বৃদ্ধা মা জরিনা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গির আলম বলেন, আমার দাদা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামার বায়সা গ্রামের সোহরাব আলি সরদার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি মারা যাবার কিছুদিন পর আমার বাবা কওসার আলিও মারা যান। অথচ আমার দাদার নামে সরকার যে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দিচ্ছেন তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে বঞ্চিত করে আসছেন আমার চাচা আরিজুল ইসলাম। তিনি এই টাকা উত্তোলন করে নিজেই খেয়ে ফেলছেন। অথচ আমাদের প্রাপ্য অংশ দিচ্ছেন না। বাবার অনুপস্থিতিতে আমার চাচা আরিজুল ইসলাম কাগজপত্র তৈরি করে নেন এবং দাদার নামের মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা উত্তোলন করতে থাকেন। এখন এই টাকার ভাগ পাচ্ছেন চাচা মিজানুর রহমান, চাচা আনারুল ইসলাম, ফুফু জামেলা বেগম ও চাচা আরিজুল ইসলাম। অথচ আমার অংশ দিচ্ছেন না তারা। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি সদর ইউএনওর ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। একই সাথে সমাজসেবা অধিদপ্তরে দরখাস্ত দিলে তারাও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
জাহাঙ্গির আরো বলেন, তারা দুই ভাই এক বোন। তিনি নিজে পঙ্গু। কাজ করতে পারেন না। তার মাও অসুস্থ। অথচ আমার চাচা আরিজুল ইসলাম বলেন, তোর দাদার ওয়ারেশ তোর বাবা মারা গেছেন। তাই তোরা কিছুই পাবি না।
তিনি বলেন, চাচারা অবৈধ টাকার প্রভাবে এবং গায়ের জোরে আমার পিতার ভাগের সম্পত্তিটুকুও জোরপূর্বক বঞ্চিত করে দখল করে রেখেছে। পিতার ভাগের সম্পত্তি আমাদের দিচ্ছে না। আমরা অসহায় হওয়ায় চাচাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছি।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গির আলম ও তার মা জরিনা যাতে পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার ও দাদার ওয়ারেশ হিসাবে মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা পাওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version