Site icon suprovatsatkhira.com

কেশবপুরে অস্তিত্বহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বিভ্রান্তি !

কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুর অস্তিত্বহীন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, উপজেলায় এ নামের কোন প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কাগজপত্রে নেই।
সূত্র জানায়, উপজেলা শহরে অবস্থিত কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ জাতীয়করণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর টিএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে পরিচালিত হচ্ছে। যার ইআইআইএন ১১৫৯৫১। এরপরই গত ১৬ আগস্ট এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান ও অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান দাতা হয়ে এর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবরে ডিড অব গিফট সম্পাদন করেন। এদিকে জিও জারির প্রাক্কালে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম না থাকায় টনক নড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এ সময় গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত ৩৭.০০.০০০.০৭১.১৫.০০৩.১৮-১১২৫ নং স্মারকে প্রতিষ্ঠানের নাম যাচাইয়ের জন্য আবারো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয় যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি না। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাম সংশোধন সংক্রান্ত যাচাই করার জন্য ৩৭.০২.০০০০.১০৬.৪৯.০৫৫.১৮-২২২৩ নং স্মারকে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দেন। জেলা শিক্ষা অফিসার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করেন এবং উল্লেখ করেন, জেলার কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানের নাম কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এমতাবস্থায় কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি করণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ শাসছুল হুদা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ একই প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ০৩.০৯.১৯৯৬ খ্রি. ১১/ স্বীকৃতি (৯/১০)- ৩/৯৬/৭৭৯ নম্বর স্বারকে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের ০১.১১.১৯৯৬ খ্রি.কলেজ/ ১৭৮৫ (১১) ১ নম্বর স্বারকে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর একাডেমিক স্বীকৃতির অনুমতি প্রদান করা হয়। এত সব তদন্তের পরও গত ৯ অক্টোবর কেশবপুর পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে জিও জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ভুলক্রমে কেশবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়েছে। এটা পরিবর্তন করে সংশোধনের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তাদের দপ্তরের কাগজপত্রে কেশবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে কোন প্রতিষ্ঠান নেই।
এ ব্যাপারে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান বলেন, যে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হয়েছে, এই নামের কোন প্রতিষ্ঠান এ উপজেলায় নেই। আসলে হবে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। যা সংশোধনের চেষ্টা চলছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version