Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জে বিষাক্ত খাদ্য প্রয়োগে আড়াই লক্ষ টাকার কাঁকড়া ও মাছের মৃত্যু

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে বিষাক্ত খাদ্য প্রয়োগ করায় ৯টি কাঁকড়া পয়েন্টের কাঁকড়া ও মাছ মরে গেছে। এঘটনায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ৯ ঘের ব্যবসায়ী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তারালী ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) এর নিকট থেকে বিগত ৩-৪ বছর যাবত কাঁকড়া পয়েন্টে খাদ্য হিসেবে পুঁটি মাছ ও তেলাপিয়া মাছ ক্রয় করছেন ওই ঘের ব্যবসায়ী। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে নয় ঘের ব্যবসায়ী ৩০ কেজি খাদ্য ক্রয় করেন। ওই খাদ্য কাঁকড়া পয়েন্টের দেয়ার পর বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে রাত ১২ টার মধ্যে সব কাঁকড়া, বাগদ ও গলদা মরে যায়। বিষয়টি রাতে খাদ্য বিক্রেতা সাইফুল ইসলামকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে যেয়ে মাছ মরার দৃশ্য দেখলেও কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ না করে উল্টো ঘের মালিকদের উপর ক্ষিপ্ত হন।
কাঁকড়া ও মাছ মরার ঘটনায় ঘের মালিক উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের সতিশ মন্ডলের ছেলে সন্দিপ মন্ডল, চাকদাহ গ্রামের লক্ষণ মন্ডলের ছেলে সনৎ চন্দ্র মন্ডল, সুশান্ত মন্ডলের ছেলে সুব্রত মন্ডল, শিবপদ মন্ডলের ছেলে সুশান্ত মন্ডল, চিংড়া গ্রামের শিবপদ হাউলীর ছেলে সঞ্জিত হাউলী, মৃত ভক্ত মন্ডলের ছেলে দিবাংশু মন্ডল, হেগলডহরা গ্রামের উৎপল মন্ডলের ছেলে তপন মন্ডল, পাঁচবাড়িয়া গ্রামের খগেন্দ্রনাথ হাউলীর ছেলে মিলন কুমার হাউলী ও প্রভাস মন্ডলের ছেলে তপন মন্ডল সম্মিলিতভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
কাঁকড়া ও মাছ মরার কারণ সম্পর্কে জানার জন্য সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফরমালিন বা বিষাক্ত ওষুধ প্রয়োগে মরে যাওয়া মাছ খাদ্য হিসেবে ঘেরে প্রয়োগ করায় কাঁকড়া ও মাছের মৃত্যু হয়ে হয়েছে বলে জানান। এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্য ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি আশাশুনির মহেশ^রকাটি গাবতলা মাছের সেটে অবস্থিত দিনোবন্ধু ও পাগলা’র মালিকানাধীন ‘সুধারাণী ফিস’ থেকে সকালে ২৫ কেজি পুঁটি মাছ কিনে ওই ঘের গুলোতে সরবরাহ করেছেন। মাছগুলো বিষাক্ত ছিল কিনা তা তার জানা নেই।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version