Site icon suprovatsatkhira.com

কবিতা: পূর্ণিমা দর্শন

মাস শেষে পূর্ণিমার রাতে
কিংবা একদিন পরে………..
গোধুলীর অন্তীম লগনে যখন, ছোট্ট হাতটি ধরে বেরিয়ে পড়ি-
খোলপেটুয়ার তীরে,
কেয়া ঘাটের সিড়ি বেয়ে ঢুকে যাই অনেকটা গভীরে,
ঘরে ফেরা মানুষের ব্যস্ততা-কেয়া মাঝির হাকডাক, শুন শান নীরবতা ভাঙে।
পাখীমারা গ্রামের সব থেকে উঁচু গাছটার মাথায় লাস্যময়ী চাঁদ জাগে তার রূপের ডালি খুলে,
ছোট্ট হাতটি তখনও শক্ত করে ধরা থাকে…………..।

দক্ষিণের উত্তঙ্গু বাতাস ছুটে আসে সাথে নিয়ে জোয়ারের জল কলকল ধ্বনি
শূন্য নদীর পেটে নোনা জল ভরে,
¯্রােতের টানে থরথর কাঁপে সোনালী ঢেউয়ের নাচন।
ইতোমধ্যে চাঁদের হাসি ছড়িয়ে যায়
রাত্রির সমস্ত শরীর জুড়ে।

খেয়াঘাটের সব চেয়ে নিচু সিড়ির ধাপটা ডুবতে ডুবতে জলমগ্ন শাপলার মতো
ডুব সাঁতারের খেলায় মাতে।
পায়ের পাতা নোনা জলে ভেজে-রোমাঞ্চটা সেখানেই,
নদীর বুকে জোয়ারের বান-চাঁদ তখন মধ্য আকাশ ছ্ুঁই ছুঁই,
লাস্যময়ী রমনীর উচ্ছ্বল হাসি বিমুগ্ধ রাত্রির বাসরে
বাসন্তী স্বপ্ন মাখা মাধবীর রং।
বুকের কাছে জড়িয়ে ধরে বলি শাওন পাখি
খোলপেটুয়া ভরে গেছে জলে
চাঁদ এখন মধ্য গগণে চলো ফিরে যাই ঘরে ………………

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version