Site icon suprovatsatkhira.com

ইছামতিতে এবারও ভাসবে না দু’দেশের মিলন মেলার তরী: নিজ নিজ সীমারেখায় প্রতিমা বিসর্জন করবে দু’দেশ

মীর খায়রুল আলম ও এমএ মামুন: ইছামতিতে এবারও ভাসবে না দু’দেশের মিলন মেলার তরী। তবে দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা না ভাসলেও নিজ নিজ সীমারেখায় ভাসবে আনন্দের ভেলা।
রোববার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ভারতের হাসনাবাদ পুরানো বাজার সংলগ্ন পানিয় জল গুণগতমান পরীক্ষাগারের অতিথিশালায় শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ এবং ভারতের পুলিশ, বিজিবি, বিএসএফ ও জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, নিরাপত্তার স¦ার্থে এবারও হচ্ছে না দু’দেশের মিলন মেলা।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার আমিনুল ইসলাম ও দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইয়ামিন আলী। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের মহাকুমা থানার এসডিপিও অশিস মর্জি, সার্কেল ইন্সúেক্টর প্রশেন খান, হাসনাবাদ থানার এসআই দেবদুলাল মন্ডল, বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার প্রেম সিংহ, টহল কমান্ডার সিব, টাকি পৌরসভার মেয়র সোমনাথ চট্রপাধ্যায় ও পোস্ট কমান্ডার হুসিয়ার সিং।
বৈঠকে দু’দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইছামতি নদীতে স্ব স্ব সীমানায় বিজয়া দশর্মীর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য উভয় দেশের সীমানা দিয়ে বিজিবি-বিএসএফসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করবে। যার যার সীমানায় ভাসবে আনন্দের ভেলা। এছাড়া দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শানার্থীরা নিজ নিজ সীমারেখায় আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। এই নদীতে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে ভাসতো মিলন মেলার তরী। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে ৫ম বারের মত দুই দেশকে স্ব স্ব সীমানায় প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে হলো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version