Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনির ১৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এআইআরপি স্থাপনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ

সমীর রায়, আশাশুনি: আশাশুনির ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আর্সেনিক আয়রন রিনোভ্যাল প্লান্ট (এআইআরপি) স্থাপনের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, ডিপিই-ডিপিএইচই, পিইডিটি-৩/২০১৭ এর আওতায় আশাশুনিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই আর্সেনিক আয়রন রিনোভ্যাল প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৯টি স্কুলে জন্য ৩১ লক্ষ ৩০ হাজার ৫০১ টাকা বরাদ্দে এআইআরপি স্থাপনের কাজ পান ঠিকাদার অসীম কুমার দাশ। দেখভাল করে এ কাজ শুরু করেন তৎকালীন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মনিরুজ্জামান। কাজের কোন তথ্য বা কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কাজের মান কেমন হয়েছে তা স্থানীয় বা উপজেলা পর্যায়ের কাউকে জানানো হয়নি।
সরেজমিনে আগরদাড়ি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য স্থাপিত প্লান্টটি অচলাবস্থায় রয়েছে। প্রধান শিক্ষক এসএম আলাউদ্দিন জানান, কাজ শুরুর আগে তাদেরকে কোন তথ্যই দেওয়া হয়নি। গত মাসে (সেপ্টেম্বর) কাজের প্রত্যয়নপত্র নিতে আসলে তিনি প্রত্যয়ন দিতে অস্বীকার করেন।
বুধহাটা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন বলেন, গত মাসে নলকূপ মেকানিক শেখ রেজাউল ইসলাম প্রত্যয়নপত্র নিতে আসে। তখন আমি কাজ দেখিনি, কিভাবে প্রত্যয়ন দেব বললে রেজাউল বলে প্রত্যয়ন দিলেন না, দিলে ভাল হতো। এখন কষ্ট করে সিল বানাতে হবে- বলে অস্ফালন করে চলে যান। পরে সে প্লান্ট ব্যবহারের জন্য আমাদের কাছে থাকা রেঞ্জসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার জানান, কাজ হচ্ছে বলে মৌখিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু প্রকল্প সম্পর্কে কোন কিছু জানানো হয়নি বা কাগজপত্রও দেওয়া হয়নি।
উপ-সহকারি প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে তথ্য না দিয়ে এড়িয়ে যান।
মেকানিক রেজাউল বলেন, দু’জন বাদে সবার কাছ থেকে প্রত্যয়ন নেওয়া হয়েছে। তবে সিল বানানোর কথা বলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
বর্তমান উপসহকারি প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) দারুস সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজের বরাদ্দ, কতদিনে শেষ করার কথা তথ্য দিলেও বিস্তারিত দিতে পারেননি। তবে কাজ সামান্য বাকী আছে বলে নিশ্চিত করেন। অথচ কাজ শেষ না করে ১৭টি স্কুলের প্রত্যয়নপত্র নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব কি হয়েছে। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version