Site icon suprovatsatkhira.com

ওহীর বিধান কায়েম করো
মো: আব্দুল্লাহ সিদ্দীক

দিবা-নিশির মিলন ক্ষণ,
আলো-আঁধারের আলিঙ্গন।
প্রাণ বায়ুর ফুরালে রেশ,
মর্ত্যবাসীর জীবন শেষ।
ধরছো মানব ধরায় বেশ,
পরপারের পাথেয় শেষ।
জীবনটাকে শুধরে নাও,
সরল পথে তরী বাও।
পরপারে কী সুখ চাও?
বাঁকা পথ ছেড়ে দাও।
সকল বিধান বাতিল করো,
ওহীর বিধান কায়েম করো।
……………………………………….

গ্রাম্য রাজনীতি
রবিন বিশ্বাস

গরীব-দুঃখীর ভাগ্য খুলে আসলে নির্বাচন
শুরু হয় তখন দ্বারে-দ্বারে প্রার্থীর আগমন।
সরল-সিঁধে ভোলা-ভালা প্রার্থীর হয় না অভাব
দেখলে তাদের মনে হয় যে শান্ত-শিষ্ট স্বভাব।

শপথ নিয়ে সবাই বলে…গরীব-দুঃখীর কথা
প্রতিনিধি হয়ে দূর করবে সবার মনের ব্যথা।

মাথার উপর ছাঁদ বানিয়ে রাখবে পাকা ঘরে
গরীব-দুঃখীর জন্য তাদের পরাণ কেঁদে মরে।

আরো দেবে চাল-গম…বয়স্কদের ভাতা
খোদার কসম এই জীবনে ভুলবে না সেই কথা।

সবার কাছে থাকবে তখন হাজার টাকার নোট
বিনিময়ে বেশি কিছু নয়…শুধু একটা ভোট।

রাজার বেশে থাকবে যত আমার ভোটারগণ
সুখে-দুঃখে তাদের পাশে…থাকব সর্বক্ষণ।

এমনি করে দ্বারে আসে খবর নিতে রোজ
মাঠে-ঘাটে থাকলে পরে সেখানে করে খোঁজ।

এমনি ভাবে খবর নিয়ে নির্বাচনের পর
আর হয় না বয়স্ক ভাতা হয় না পাকা ঘর।

প্রতিনিধি তখন মহাব্যস্ত উন্নয়নের কাজে
সময় পায় না আসতে ছুটে গরীব-দুঃখীর মাঝে।

আশা করে প্রার্থীকে সব…জয়ী করলাম ভোটে
সেই যে এখন সবার মত ধনীদের পিঁছু ছোটে।

তাদের কৃপা পেয়ে না-কি হয়েছে প্রতিনিধি
তাই তো তাদের সেবা করতে…ব্যস্ত নিরবধি।

সরকারি চাল-ডাল দিয়ে তাদের গোলা ভরে
গরীব-দুঃখী অনাহারে কেঁদে-কেঁদে মরে।

কে শুনবে কান্না তাদের এমন আছে কে-বা
বিনা স্বার্থে করবে এসে গরীব-দুঃখীর সেবা।

নেতা-রা সব নিতে জানে দিতে জানে না
গরীব-দুঃখীদের মানুষ বলে ওরা মানে না।

ক্ষমতাশালী মানুষদের…হাতে রেখে হাত
লুটপাট করে চলেছে ওরা দিন থেকে রাত।

নিত্য করে অন্যায় আর জুলুম-অবিচার
পশুতুল্য আজকে যেন ওদের ব্যবহার।

আইনকে ওরা জিম্মি রেখে করছে দেশের ক্ষতি
…এটাই হচ্ছে আমার দেশের গ্রাম্য রাজনীতি।
……………………………..

সব পাখি ঘরে ফেরে না
শেখর দেব

আঁধার রাত্রির পর কে থাকে আলোর অপেক্ষায়?
শারদীয় শুভ্রতায়, অনন্ত উদার মোহনীয়
দিন ক্রমশ উঠেছে দুলে। শিশিরের মমতায়
অবারিত ব্যস্ততার ক্ষণে, কে তোমার রমণীয়
রূপের সামনে জলন্ত গোলাপ ছুড়ে ছুটে যায়।
দূরের বাতাস দোলে, অসমাপ্ত আয়োজন শেষে
পাখিরা ফিরে না ঘরে, রয়ে যায় লেনদেন হায়!
কাছের মানুষ তবু দূরেই বসতি অবশেষে।

সাগর উজানে এলে যে দশা জলের মাঝে হয়
এমন লবণ মায়া বুকের ভেতর জমা রয়।
অরূপ দেবীর মুখ দেখেছি কতো না মনে পড়ে
কপোলের তিল আর রাঙা শোভা ঠোঁট মিশে যায়।
চোখের অপার মায়া নিমেষে আকুল মনে ধরে
হারায় আলোর রূপ, আঁধারে তাই অনন্যোপায়।
………………………………………..
অনিঃশেষ স্বপ্ন
অনিন্দ্য নূর

মৃণালি স্রোতে ঘুমিয়ে আছো হে স্বপ্নহীন, হে তরু!
দু’হাতে রাশি রাশি বিহঙ্গের মৃত ডানার গন্ধ;
অন্ধকার রাত থেকে চুরি করে নিয়েছে ওরা
আমাদের কয়েকটি হিম নক্ষত্রের মৃণালি চোখ।

শত্রুদের সূর্য্য আড়াল করে মৃত্তিকার অস্থি-মজ্জা
দিয়ে গড়েছি প্রেমের মহল, যেখানে পাপ জমছে শিশিরের মতো।
ঘৃণার বিষবাষ্পে নিঃশ্বাসের ফানুস যেখানে অনিঃশেষ-
আমি কখনও এক সমুদ্র মৌনতার বিষে জর্জরিত পন্নগ
ঝলসে যাওয়া চোখে তাক করে আছি- পরাহত দৃষ্টি নিয়ে
কোনো আকাশের হৃদয়ে! কোন ফাল্গুনের রানি হে তুমি
বুকে বেদনার বৈতরণী আর হাতে বসন্তের ফুলেল ঢালা।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version