Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে অন্তরায় বয়স এফিডেভিট

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে এফিডেভিটের মাধমে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দেওয়ায় কোনভাবেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না বাল্যবিবাহ। বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে এফিডেভিট বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল। যদিও যোগদানের পর ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফীর প্রচেষ্টায় ১৮টি বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে।
জানা যায়, গত ৯ আগস্ট আহসান উল্লাহ শরিফী ইউএনও হিসেবে মণিরামপুরে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরদিন উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামে হারুণ অর রশিদের স্কুল পড়–য়া মেয়ের বিয়ে বন্ধ করেন। এছড়া তার হস্তক্ষেপে একদিনে চারটি বিয়ে বন্ধ হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার রাতেও দেবিদাসপুর গ্রামে একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়।
বাল্য বিয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিভাবক বিল্লাল হোসেন, শ্যামকুড়ের কাজী (নিকাহ রেজিস্ট্রার) রফি উদ্দীনকে ঘণ্টা তিনেক হাজতে রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য মুচলেকায় মুক্তি মেলে তাদের।
এদিকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে বয়স বাড়ানোর বিষয়টি।
একটি সূত্র জানায়, বেশির ভাগ এফিডেভিটের সার্টিফাইড কপিতে যশোর জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট সৈয়দ রুহুল আমিন এবং তুহিন মজুমদারের সিল স্বাক্ষর দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে অ্যাডভোকেট সৈয়দ রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো কারো কাছে যায় না, ছেলে বা মেয়ের নিকটাত্মীয়রা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ঘোষণা করলে তিনি কেবল তা সার্টিফাইড করে দেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বির্নাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী বিয়ের ক্ষেত্রে এফিডেভিট কোনভাবেই প্রযোজ্য নয় জানিয়ে বলেন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি মাসের বুধবার উপজেলার প্রত্যেক কাজীকে মাসে যে কয়টি বিয়ে পড়িয়েছেন তার নাম ঠিকানা, বয়সসহ সব কিছু জানাতে বলা হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version