Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষককে মারপিট, মামলা

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে ৫ লাখ টাকার দাবিতে সন্ত্রাসীরা এক মাদ্রাসা শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ডিবি। এর আগে ঐ শিক্ষকের গলায় গাছি দা ধরে ধার্য্যকৃত চাঁদার টাকার মধ্যে ওই শিক্ষকের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক বাদী হয়ে দুই জনের নাম উলে¬খ করে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে মামলা দায়ের করা করেন। যার সিআর মামলা নং- ৫২৮/২০১৮ ইং। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য যশোর ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা ও আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বশির আহম্মেদ খাঁন।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের মৃত. আবু বক্কার মোল¬ার ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নূরূল হকসহ তার পরিবারের অন্যান্যদের পৈতৃক সূত্রে একটি পুকুরসহ বিভিন্ন দাগের জমি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে একই এলাকার সম্পদলোভী একটি চক্র। সম্পদ দখলে নিতে চক্রটি শিক্ষক নূরুল হক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে। কিন্তু তাদের বৈধ কোন কাগজ-পত্র না থাকায় পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞ আদালত থেকে মামলাগুলি খারিজ হয়ে যায়। এক পর্যায় বার বার মামলায় হেরে গিয়ে ও জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে গত মাসের ৩১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সম্পদলোভী চক্রের ২ সদস্য গাছি দা এবং লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষক নূরুল হকের বাড়ীতে চড়াও হয়। এসময় তারা ওই শিক্ষককে একা পেয়ে তার নিকট পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে অস্বীকৃতি জানালে একই এলাকার তবিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর ও অলিয়ারের ছেলে সুমন তাকে মারপিট পূর্বক গলায় গাছি দা দেখিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় এলাকার লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে তারা বাকী টাকা আগামী ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে মর্মে নানা ধরনের হুমকী দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক নূরুল হক বাদী হয়ে যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মণিরামপুর আমলী আদালতে আলমগীর হোসেন ও সুমন হোসনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান মামলা আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশকে আদেশ দেন। মামলার বাদি নুরুল হক বলেন, এর আগে তাদের জমির উপর ওই চক্রটি ১৪৪ ধারা করলে থানা পুলিশ ওই গং-এর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আদলতে মনগড়া মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে। ইতোমধ্যে ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেয়া হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version