Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরের টিএইচও ডা. গফফার স্ট্যান্ড রিলিজ

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল গফ্ফারকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তাকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবিএম মুজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত রিলিজ অর্ডার হাতে পান ডা. আব্দুল গফ্ফার। আর শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথকে মণিরামপুরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আদেশ প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে শ্যামনগরে যোগদানের কথা বলা হয়েছে। আদেশ অনুযায়ী পত্র পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে এই সংক্রান্ত কাগজপত্র যশোর সিভিল সার্জনের দপ্তরে পাঠিয়েছেন। সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ডা. আব্দুল গফ্ফার গত বছরের ২৪ আগস্ট মণিরামপুরে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ডা. আব্দুল গফ্ফারের নওয়াপাড়ায় ‘ডক্টর্স ক্লিনিক’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই ক্লিনিকে মণিরামপুরের ভরতপুরের এক প্রসূতিকে অপারেশন করার সময় পেটে গজ-বেন্ডেজ রেখে সেলাই করা হয়েছিল। একপর্যায়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়। পরে সিভিল সার্জন গিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেন। বর্তমানে ক্লিনিকটি বন্ধ আছে। অভিযোগ রয়েছে, আব্দুল গফ্ফার মণিরামপুরে যোগদানের পর থেকে প্রতিদিন হাসপাতালে আসার সময় ওই ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স সঙ্গে নিয়ে আসতেন। এসেই ওয়ার্ডে রাউন্ড দিয়েই চলে যেতেন তিনি। রাউন্ডে গিয়ে গুরুতর রোগীদের তিনি নিজ ক্লিনিকে রেফার করতেন। আর রোগীদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হলেও তাদের নওয়াপাড়ায় নিজের ক্লিনিকে পাঠাতেন তিনি। এদিকে হাসপাতালের বেড খালি থাকলেও সেগুলোতে রোগী ভর্তি দেখাতে নার্সদের বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে আব্দুল গফ্ফারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হচ্ছে, খালি বেডে রোগী ভর্তি দেখিয়ে তাদের জন্য বরাদ্দ খাবারের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version