Site icon suprovatsatkhira.com

ভোমরা বন্দরে অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১০৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয়, ঘাটতি ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট: ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আহরণে প্রায় ৪০ কোটি ঘাতটি পড়েছে। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এ বন্দরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১৪৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে জুলাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ কোটি ৮৬ লাখ এবং আগস্টে ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এই লক্ষ্যের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে জুলাইয়ে আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ২ লাখ টাকা এবং আগস্টে ৬০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ফলে গেল দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাতটি পড়েছে।
তবে বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল দুই মাসে রাজস্ব ঘাতটি পড়লেও ২২টি নতুন পণ্য আমদানির অনুমতি পাওয়ায় শীঘ্রই রাজস্ব আদায় বেড়ে যাবে।
ভোমরা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, সম্প্রতি ভোমরা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কিছুটা কমে গেছে। কিন্ত এ বন্দরে আরো ২২টি পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়ায় রাজস্ব আদায় আগামীতে আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে। চাহিদা অনুযায়ী এসব পণ্য ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে পারলে সরকারের রাজস্ব বেড়ে যাবে।
কাস্টম্স, এ্যাক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, খুলনার কর্মকর্তা কে.এম অহিদুল আলম জানান, বছরের শুরুতে রাজস্ব আদায় কিছুটা ঘাটতি পড়েছে। তবে ভোমরা স্থলবন্দর এখন অনেক সম্ভাবনাময়। এটি আগামীতে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর হবে। তাছাড়া নতুন করে আরো ২২টি পণ্য আমদানির অনুমতি পাওয়ায় এ বন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যে যেমন প্রসার ঘটবে তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলন্দরের দূরত্ব কম হওয়ায় এ বন্দর ব্যবহারে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা আরো আগ্রহী হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৮-১৯ বছরে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ৮৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে জুলাইয়ে ৬৪ কোটি ৮৬ লাখ, আগস্টে ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৫৮ কোটি ৬১ লাখ, অক্টোবরে ৮০ কোটি ৬২ লাখ, নভেম্বরে ১১১ কোটি ৫ লাখ, ডিসেম্বরে ১১৭ কোটি ২৭ লাখ, জানুয়ারিতে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৩৭ কোটি ৫৮ লাখ, মার্চে ১০২ কোটি ১৪ লাখ, এপ্রিলে ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ, মে মাসে ৫১ কোটি ৮৪ লাখ এবং জুনে ৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ২৭৭ কোটি টাকা বেশি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version