ডেস্ক রিপোর্ট: বোন-বোনাইয়ের অত্যাচারে থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ব্যক্তি।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শহরের পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গির আব্দুল বারী কসাইয়ের ছেলে আমিনুর রহমান এই সংবাদ সম্মেলন করে। এসময়, আমিনুরের মা রোমেছা বেগম ও ছোট বোন সুবিলা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আমিনুর রহমান জানান, বাবা আব্দুল বারী তার মায়ের নামে এক কাঠা জমি ক্রয় করেন। বাবার মৃৃত্যুর পর মা ওই জমি বিক্রি করে ফের দুই কাঠা জমি কেনেন। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শান্তিতে ছিলেন। কিন্তু বড় বোন ময়নার বিয়ের পর সেই বোন আর বোনাই মায়ের জমিতে ঘর বেঁধে বসবাস করতে থাকে। এরপর থেকে পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। তিন বছর আগে আদ দ্বীন সমিতি আমিনুরের প্রতিবন্ধী বোন মনোয়ারা ও তার মাকে টিনের ঘর তৈরি করে দেয়। এরই মধ্যে প্রতিবন্ধী বোন মনোয়ারা নিখোঁজ হয়ে যায়। আজ অবধি তার কোনো খোঁজ মেলেনি। এ নিয়ে কোর্টে মামলা করেন আমিনুর। এ মামলায় আসামি করা হয় তার মেজ বোন ও বোনাইকে। এরপর থেকে শুরু হয় আবারও গোলমাল। মেজ বোনের কেসের ব্যাপারে ও ঘরের ব্যাপারে কিছু বললে তারা বলে তোর মেজ বোনের মতো তোকেও গুম করে দেবো।
আমিনুর বলেন, বড় বোন আর দুলাভাইয়ের অত্যাচারে বাড়িতে টিকতে পারছি না। এ জন্য নাভারণে যেয়ে ভাড়া থাকি। কিছুদিন আগে মার জমিতে আবারও দুটি পাকা ঘর করি। কিন্তু সেখানেও উঠতে দেয়নি বোন ময়না ও বোনাই।
তিনি বলেন, আমি সাতক্ষীরার সার্কেল এসপির সাথে দেখা করে আমার পক্ষে গণস্বাক্ষরের তালিকা দেই। এবার এসপি অফিসে অভিযোগ দিলে একমাসের মধ্যে তাদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর থেকে আমার ওপর নির্যাতন চলছে বারবার। গত ২৫ আগস্ট তারিখে রসুলপুরের একটি বাড়িতে থাকাকালে আমিনুরকে খুন করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। তারা কেস তুলে নিতে বলে।
তিনি আরো বলেন, আজ সোমবার কোর্ট এলাকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা গ্রহণের একটি স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা করে ময়না ও তার স্বামী। আমিনুর এর প্রতিকার দাবি করে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।