সরদার কালাম, খোরদো (কলারোয়া): বাবুই পাখি হারিয়ে গেছে এমনটা বললে বেশি অত্যুক্তি হবে না। কারণ বেশ কয়েক বছর আগেও গ্রামের পথের ধারে তাল গাছে বাসা বাঁধতো বাবুই পাখি। দৃষ্টি নন্দন এই পাখির বাসা দেখেও যেন মনে শান্তি মিলতো। কিন্তু এখন মাইলের পরে মাইল ঘুরেও দেখা মিলবে না কোন পাখির বাসা।
একটা সময় তালগাছের দিকে তাকালে পাতায় পাতায় দেখা যেত বাবুই পাখির বাসা। দেখা যেতো তাদের অবাধ বিচরণ। তালগাছে বাবুই পাখির এসব বাসা তৈরি করতে তালের পাতা, ধানের পাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা প্রয়োজন হয়। যেন বড় বড় ইঞ্জিনিয়ারও তৈরির যোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে। অথচ আগামী প্রজন্মের কাছে তা শুধুই বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বাবুই পাখির শক্তবুননের এ বাসা টেনে ছেড়াও ছিল খুব কঠিন। বাবুই পাখি নিয়ে ভাবতে গেলেই মনে হয় এরা যেন শিল্পী, স্থপতি ও সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি। যেন সৃষ্টিকর্তা কতৃক বিশেষ তৈরির কারিগর বাবুই পাখি।
স্ত্রী বাবুই পাখিকে ডেকে নিয়ে বাসা দেখায় পুরুষ পাখি। বাসা পছন্দ হলে পুরো কাজ শেষ করে আর পছন্দ না হলে অর্ধেক কাজ করেই নতুন করে আরেকটি বাসা তৈরির কাজ শুরু করে। একটি বাবুই পাখি অর্ধেক বাসা তৈরি করতে সময় লাগে আনুমানিক এক সপ্তাহ। স্ত্রী বাবুই পাখির বাসা পছন্দ হলে বাকিটা শেষ করতে সময় লাগে আরো ৪-৫ দিনের মত। কেননা তখন পুরুষ বাবুই মহা আনন্দের সাথে বিরামহীনভাবে কাজ করে। এভাবে পুরুষ বাবুই এক মৌসুমে ৫-৬ টি পর্যন্ত বাসা তৈরি করতে পারে।
বাবুই পাখি সংরক্ষণ তাই যেন সময়ের দাবি।
বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/