Site icon suprovatsatkhira.com

দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে ২য় বিয়ে করায় স্বামীর শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে ফেলে রেখে ফের বিয়ে করায় স্বামীর শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গৃহবধূ।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শহরের ইটাগাছার সাইফুল্লাহ সরদারের স্ত্রী রওশন আরা খাতুন এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পনের বছর আগে সে আমার সাথে ভালবাসার ভান করেছিল। এক রকম জোর করেই আমাকে বিয়ে করেছিল। আমি চাকুরি করতাম ওয়ার্ল্ড ভিশনে। আর বিয়ের পর সে চাকুরি করতে দিলো না। বলেছিল ‘আমি যা কামাই করি তাই কে খায়। তোমার চাকুরির দরকার নেই’। এখন সে দিনের অবসান ঘটেছে। সেই স্বামী সাইফুল্লাহ সরদার আমার অজান্তে পাপিয়া নামে এক নারীকে বিয়ে করেছে। পাপিয়া আগে তিন বিয়ে করেছে বহেরার বাবু, আঠারো মাইলের শিমুল ও কুলিয়ার মিলন কুমারকে। পাপিয়ার একটি মেয়ে শিশুও রয়েছে। এখন সেই পাপিয়াই আমার স্বামী সাইফুল্লাহর স্ত্রী। বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে ইটাগাছার বাঙ্গালের মোড়ে, এক শিক্ষা অফিসারের বাসায়।
আমার স্বামী এখন হিং¯্র রূপ নিয়েছে। দফায় দফায় সালিশ বিচার করে সে প্রতিমাসে আমাকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিতে সম্মত হয়েছিল। পরে তা দেয়নি। আমার দুই ছেলে মেয়ে তামজিদ ও তানহা দুই জনেই মাদ্রাসার শিশু শ্রেণিতে পড়ে। স্বামীর সহযোগিতা না পাওয়ায় এখন পরিবারের ভরন পোষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারছি না। তিনি বলেন, সাইফুল্লাহ রইচপুর গ্রামের আবদুস সবুর সরদারের ছেলে। অঢেল টাকার মালিক। স্বপ্নীল ফিসের পার্টনার সে। নয় মাস আগে পাপিয়াকে বিয়ে করার কথা জানিয়ে রওশন আরা বলেন, পাপিয়াকে নিয়ে সে ভারতে যায় হানিমুনে। পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি। অনেক অনুরোধ করে বলেছি তুমি আমার ছেলেমেয়ের দিকে তাকাও। এ বাড়ি ও বাড়ি করে তুমি ভাগাভাগি করে থাকো। তাতে পাত্তা দিচ্ছে না সাইফুল্লাহ। বারবার অনুরোধের পরও কোনো ব্যবস্থা হয়নি। সাইফুল্লাহ সরদার আমাকে বলেছিল মামলা করো না। কয়েকদিন পর পাপিয়াকে ছেড়ে দেবো। তুমি ধৈর্য ধরো। কারও জানানোর দরকার নেই’। একথা বলার কিছুদিন পর সে চোখ উল্টে দেয়। এখন বলে আমাকে কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না।
পাপিয়াকে বিয়ের পর ও আগে সাইফুল্লাহ আমাকে মারপিট করতো। গভীর রাতে টলতে টলতে বাড়ি ফিরতো। প্রতিবাদ করলেই মারতো আমাকে। এখন তাকে নেশায় পেয়েছে। ইয়াবা খায় সে। কালিগঞ্জের নাসির ও সাইফুল্লাহ এক সাথে ইয়াবা খায়। যতসব নষ্ট কাজ করে বেড়ায়।
রওশন আরা বলেন, আমি আমার অধিকার চাই। দেশের আইন অনুযায়ী সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করতে চাই। এ ব্যাপারে তিনি মানবাধিকার সংগঠন এবং সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version