রবিন বিশ্বাস
আমি তো কারো জননী হতাম
নয় তো হতাম বোন
কারোর গলে মাল্য দিতাম
আমারো ছিল মন।
সুখে-দুঃখে পাশে থেকে
হতাম কারোর আপন
দু-চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখে
নিশি করতাম যাপন।
নয় তো কোন কুমারী হতাম
থাকতাম বাবার বুকে
মায়ের আচলে মুখ লুকিয়ে
দিন কাটাতাম সুখে।
কেন আমি আহার্য হলাম
হিং¯্র হায়নার মুখে
অহর্নিশি জ্বলছে আগুন
আমার ভাঙ্গা বুকে।
অন্ধকারময় গলিতে বসে
নিত্য কাটাই দিন
তীক্ষè নখের আঘাতে বাজে
চিত্তে মরণ বীন।
বধির কি আজ বিশ্ব বিবেক
দু-চোখ রেখে বন্ধ
দিনের শেষে খুঁজে বেড়ায়
নারী দেহের গন্ধ।
দস্যু দল ওরা লুটে নেয় সব
ছিড়ে গায়ের কুর্তা
তাজা রক্তে পিয়াস মিটায়
ভরে লোভি আত্মা।
বাঁচার জন্য চিৎকার দিয়ে
তোলপাড় করি ধরণী
নেমে আসে যেন সবুজ দ্বীপে
একাত্তরের লাল স্মরণী।
অসহায় আঁখির পাতা খুলে
মুক্তির পথ খুঁজে ফিরি
ব্যর্থ চেষ্টায় থামে না কভু…
সদ্য জ্বলা আগ্নেয়গিরি।
মন চায় আবার নব সাজে
বীরঙ্গনার রূপ ধরি
কমল হাতে অস্ত্র ধরে……
জাতির বিরুদ্ধে লড়ি।
ভাবুক ওরা কাপুরুষ সবার
নিঃস্ব বাহু বল
নিরবতায় ওদের ধ্বংস প্রায়
সারা ধরণী তল।।
……………………………