ইলিয়াস হোসেন, যুগিখালী (কলারোয়া): কলারোয়ার যুগিখালীর বাওড়, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। দুই দশকে এ এলাকা থেকে ১৫-২০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর এতে হাটবাজারে দেশীয় মাছ অনেকটা দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে।
গবেষকরা বলছেন, কৃষি জমিতে ব্যাপক হারে কীটনাশক ও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারে নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে খাল-বিল, জলাশয়ের স্বচ্ছ পানি বিষাক্ত হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন মাছ চাষ হচ্ছে। ফলে এসব মাছ চাষের আগে পুকুর ডোবার পানিতে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোয় মাছ, শামুক ও অন্যান্য জলজ প্রাণির প্রজননক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
মৎস্যজীবীরা জানান, অধিক মুনাফার আশায় হাইব্রিড মাছের চাষ করতে গিয়ে জলাশয়গুলো থেকে দেশীয় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের অতি পরিচিত দেশী প্রজাতির মাছ বিশেষ করে টেংরা, মাগুর, বাইন, পুটি, শিং, পাবদা, টাকি, চিতল, আইড়, কৈ, বোয়াল, খৈলসার মতো সুস্বাদু দেশীয় মাছ এখন আর তেমন দেখা যায় না, যা আগে বাওড়, খাল-বিলে পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে এসব মাছ আজ বিলুপ্তির পথে।
এ বিষয়ে মৎস্য চাষী জাকির হাসান শিমুল বলেন, দেশীয় মাছ হারিয়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পানিস্বল্পতা, যেখানে সেখানে বাঁধ নির্মাণ, নাব্যতা হারানো, পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার, মাছের নিরাপদ আশ্রয় না থাকা ও প্রজননক্ষেত্র সঙ্কুচিত হওয়া, সংযোগ খালগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, জমিতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে দিন দিন দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের বংশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/