স.ম ওসমান গনী সোহাগ, বুড়িগোয়ালিনী: শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীর ১০৩নং সেন্ট্রাল আবাদচন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ভবনের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। ধ্বসে পড়েছে কোন কোন অংশ। এতে ভবন ধ্বসে পড়ে বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ে অফিস রুমসহ চারটি কক্ষ রয়েছে। বর্তমানে দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পাঠদান করে আসছে। অথচ এই বিদ্যালয়টির শ্রেণি কার্যক্রম চলছে পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবনে। গত দশ বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে এই ভবনেই চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাদের ঢালাই খসে খসে পড়ছে। ভবনের পিলারগুলোও আস্তরণ ছাড়াতে ছাড়াতে চিকন হয়ে গেছে। জানালার গ্রিলগুলো জং ধরে ক্ষয়ে পড়ছে। এ অবস্থার মধ্যদিয়েই চলছে শ্রেণি কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলের রুমগুলো ভাঙা। প্রায় সময় ভেঙে আমাদের গায়ের উপর পড়ে। মাঝে মাঝে ভয়ে ক্লাসের বাইরে চলে যায়। এই ভবনে ক্লাস করতে ভয় লাগে।
প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে এলাকাবাসী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে সব জায়গায় উন্নয়নের সুবাতাস বইলেও আমাদের এই আবাদচন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন হয়নি। কোমলমতি শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করছি, যেন অতিদ্রæত জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌভিক রায় জানান, আমি ২০০০ সালে এই বিদ্যালয়ে যোগদান করি। তার কয়েক বছর পর থেকে বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল দেখা দিলে আমি তৎকালীন শিক্ষা অফিসার এবং সহকারি শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করি। শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষা অফিস শুধু আশ্বাস প্রদান করে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করছি।
সেন্ট্রাল আবাদচন্ডিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়: জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/