ডেস্ক রিপোর্ট: ‘সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম লাল্টু। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কলারোয়া উপজেলার ৬০নং ঝিকরা মৌজার ৩.৫০ একর জমির ৬২’র রেকর্ডীয় মালিক মৃত তারাবরক আলী মন্ডলের পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ে। ওই ৪ মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে সরবানু খাতুনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারেশ মুজিবর রহমান গংরা ওই দাগের জমি প্রাপ্ত হন। যার মিউটেশনসহ হাল নাগাদ খাজনা মুজিবর রহমান গংরা পরিশোধ করে রেখেছেন। কিন্তু মৃত তারাবরক আলীর অন্যান্য ওয়ারেশ মুজিবর রহমানের মামা অহিদুজ্জামান ও সহিদুল ইসলাম গংরা ওই জমি জবর দখলের পায়তারা করে। এই বিরোধীয় সম্পত্তি নিয়ে তিনিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনেকবার শালিস বিচার করেছেন। শালিসে অহিদুজ্জামান গংরা জমি দেয়ার কথা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তাদের ভাগ্নে মুজিবর রহমান গংদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে এসএ ১৭২ দাগের উপর অহিদুজ্জামান গংদের টিনের ছাবড়ির দোকনটি পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে জায়গা ফাঁকা হলে মুজিবর রহমান গংরা ওই জমি পাওয়ার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর কলারোয়া থানায় একটি লিখিত আবেদন করে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর আপোসের লক্ষ্যে আমার উপস্থিতিতে এবিষয় নিয়ে থানায় বসাবসি হলে কাগজপত্র দেখে থানা কর্তৃপক্ষ বিরোধীয় জমিতে উভয় পক্ষকে যেতে নিষেধ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, থানা কর্তৃপক্ষের শালিসের আদেশ অমান্য করে অহিদুজ্জামান গংরা বাড়ির মহিলাদের নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উল্লিখিত দাগের জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে মুজিবর রহমান গংরা তাদের নিষেধ করে। কিন্তু অহিদুজ্জামান গংরা নিষেধ অমান্য করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখে এবং মুজিবর রহমান গংদের মারপিট করে। খবর পেয়ে আমিসহ এলাকার বহু লোক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করি। কিন্তু অহিদুজ্জামান গংরা সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। এতে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন কোনভাবেই এই ঘটনার সাথে জড়িত নই।
আমিনুল ইসলাম লাল্টু আরো বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। পর পর দুইবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোস করিনি। আমার পরিবারের সদস্যরা কেউ সমাজ বা রাষ্ট্র বিরোধী কোন কর্মকা-ের সাথে জড়িত ছিল না বা বর্তমানেও নেই। ১৬ সেপ্টেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে সেটা তাদের মামা-ভাগ্নের একান্ত ব্যাপার। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ পিছন দিক থেকে অহিদুজ্জামান গংদের উৎসাহিত করে আমার বিরুদ্ধে লেলিলে দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল ইসলাম লাল্টুর দাবি: সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ ঠিক নয়
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/