সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
‘শিশু জন্মের তিন দিনের মধ্যে গোসল করানো যাবে না’ নবজাতকের স্বাস্থ্য কর্মসূচির আলোচনা সভায় বক্তারা
বাহলুল করিম: জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচির আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, অবশ্যই নবজাতকে হাসপাতালে ডেলিভারি করাতে হবে। হাসপাতালে ডেলিভারি করালে নবজতাক ঝুঁকিমুক্ত থাকে। আলোবাতাসপূর্ণ ঘরে নবজাতকের জন্মের ব্যবস্থা করতে হবে। বাচ্চার জন্য আলাদা টেবিলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ডেলিভারির সাথে সাথে বাচ্চার নাড়িতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হতে পারে। এজন্য পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নভাবে বাচ্চার নাড়ি কাটতে হবে। আাগেকার দিনে কিন্তু বাঁশের চাঁচাড়ি দিয়ে বাচ্চার নাড়ি কাটা হতো। তখন অনেক সমস্যা হতো। নবজাতক শিশুর পরিচর্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রথমে নবজাতক শিশুর চোখের যতœ নিতে হবে। চোখের যতœ নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই পিচ গজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি চোখের জন্য একটি করে গজ ব্যবহার করে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। তারপর নাকের যতœ নিতে হবে। নাকের যতœ নেওয়ার ক্ষেত্রে কটন বার্ড ব্যবহার করা যাবে না। পরিষ্কার গজ বা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এরপর জিহŸার যতœ নিতে হবে। জিহŸার যতœ নেওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী জেল ব্যবহার করে জিহŸা পরিষ্কার করতে হবে। নবজাতক শিশু জন্মের তিন দিনের মধ্যে কোন অবস্থাতেই গোসল করানো যাবে না। এটি অবশ্যই বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। তিন দিন পরে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে শিশুকে গোসল দিতে হবে। নবজাতক শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত এক ফোঁটা পানিও খেতে দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তাহলে শিশু মৃত্যুর হার অনেকটা কমানো সম্ভব হবে। শিশু জন্মের পরে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। 8,972,227 total views, 3,909 views today |
|
|
|