আবিদ হাসান: যৌতুক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আব্দুর রাজ্জাক সরদার নামে এক ব্যক্তিকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ন কবির এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রাজ্জাক সরদার তালা থানার সুজনশাহা গ্রামের কেয়ামুদ্দীন সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২১ শে সেপ্টেম্বর তালা থানার সুজনশাহা গ্রামের কেয়ামুদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক সরদারের সঙ্গে পাটকেলঘাটা থানার আচিমতলা গ্রামের গফফর শেখের মেয়ে ফতেমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে সন্তান জন্ম হওয়ায় রাজ্জাক ফতেমা বেগমের বাবার নিকট ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় রাজ্জাক ফতেমা বেগমের উপর নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ফতেমা বেগম ও তার মেয়ে সিমলাকে আব্দুর রাজ্জাক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। অসহায় অবস্থায় ফতেমা বেগম মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাবার বাড়িতে দীর্ঘদিন থাকার পর মিমাংসার জন্য খবর দিলে আব্দুল রাজ্জাক সরদার ফতেমার বাবার বাড়িতে টাকা না দিলে মিমাংসা হবে না বলে চলে যায়।
পরবর্তীতে ফতেমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৪ সালে ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আব্দুর রাজ্জাক সরদারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে উপরিউক্ত সাজার আদেশ দেন। তবে, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে ছিলেন না। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ এমাদ-উদ-দৌলা।
যৌতুক মামলায় এক ব্যক্তির কারাদণ্ড
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/