Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নবজাতক গায়েবের হোতা সেই নার্স বহাল তবিয়তে

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নবজাতক গায়েব হওয়ার ঘটনার মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত নার্স হ্যাপি রায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। নবজাতক গায়েবের ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে নয় নম্বর কক্ষে হ্যাপিকে ডিউটি করতে দেখা গেছে।
হাসপাতালের টিএইচএ শুভ্রারানী দেবনাথ এবং যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দীলিপ রায় এই বিষয়ে দিয়েছেন ভিন্ন বক্তব্য ।
এদিকে, আলোচিত-সমালোচিত নার্স হ্যাপি রায়কে ডিউটিতে দেখে হাসপাতালের স্টাফরা হতবাক হয়েছেন। এতো বড় একটি ঘটনার পরও তিনি কীভাবে ডিউটিতে আসছেন? তা নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।
টিএইচএ শুভ্রারানী দেবনাথ বলছেন, ‘আগের টিএইচএ আব্দুল গফ্ফার লিখিতভাবে হ্যাপিকে বহিষ্কার করেছিলেন। সেই আদেশ এখনো প্রত্যাহার হয়নি। সিভিল সার্জন স্যার গত মঙ্গলবার আমাকে ফোন করে বলেছিলেন হ্যাপিকে ডিউটি দিতে। সেই অনুযায়ী বুধবার থেকে সে ডিউটি করছে।
তবে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দীলিপ রায় বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, হাসপাতালে নার্সের সংখ্যা কম থাকায় টিএইচএ-এর অনুরোধে হ্যাপিকে ডিউটিতে আসতে বলা হয়েছে।
ডা. দীলিপ কুমার বলেন, নবজাতক গায়েবের ঘটনায় আমার অফিসের তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকায় নার্সিং কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশের লিখিত জবাব হ্যাপি আমার দপ্তরে দিয়েছে। দুই দিন আগে সেই জবাবের কপি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট বিকেলে মণিরামপুর হাসপাতালে জীবিত এক নবজাতকের জন্ম দেন এক নারী। মোটা অংকের চুক্তিতে হাসপাতালের নার্স হ্যাপি রায় ওই নারীকে ডেলিভারি করান। পরে তিনি (মা) শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যান। অভিযোগ ওঠে, বিষয়টি জানাজানি হলে আয়া পূর্ণিমার সহায়তায় রাত নয়টার দিকে নবজাতকটিকে গায়েব করেন নার্স হ্যাপি। এই সংক্রান্ত তদন্ত টিমের সামনে অভিযুক্ত হ্যাপি দাবি করেন, গায়েব নয়, তিনি শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দিয়েছেন। যদিও, সেই নারীর নাম পরিচয় তদন্ত টিমকে জানাতে পারেননি হ্যাপি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version