Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে মাছের ঘেরে দেয়া হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগীর বিষ্ঠা, দুর্গন্ধে দুর্বিষহ জনজীবন

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকূড় ও রতনদিয়া বিলে মাছের ঘেরে দেওয়া হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগীর বিষ্ঠা। এতে তীব্র দুর্গন্ধে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। প্রতিদিন এলাকাবাসীর ঘুম ভাঙ্গে পোল্ট্রির বিষ্ঠার গন্ধে, আবার ঘুমাতেও যান বিষ্ঠার গন্ধ নিয়ে। এভাবেই চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে দিন পার করছে মণিরামপুরের শ্যামকুড়, রতনদিয়া, শামকুড় মাঠ পাড়ার হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুলতানের মাছের ঘের পাড়ে থামতেই বাতাসে ভেসে আসে তীব্র গন্ধ। সেখানে থাকাটাই যেন দায় হয়ে পড়ে। এমন অবস্থা শুধু সুলতানের ঘেরে না। উপজেলার বাটবিলা, মনোহরপুর, বালিদহ, নেহালপুর এলাকার ঘের মালিকরা ঘেরে মাছের খাবার হিসেবে দিচ্ছে পোল্ট্রির বিষ্ঠা। এতে চরম দুর্গন্ধে সারা বছরই গ্রামবাসী ডায়রিয়া, আমাশায়সহ নানা পেটের পীড়ায় ভুগছে। এছাড়া গ্রামবাসীর চলাচলকৃত সড়কের উপর মাছের ঘেরের ভেঁড়ি দেয়ায় যানবহন চলাচলেও বিঘœ ঘটছে।
এসময় উপস্থিত ইজ্জেত আলী গাজী, তহমিনা, নুরুন্নাহার, রওশানারা, জাহানারাসহ একাধিক নারী-পুরুষ বলেন, আমরা এখানে বাস করতে পারছি না। তবে এদের এসব কাজের প্রতিবাদ করতে গেলেই প্রভাবশালী ঘের মালিকদের রোষানলে পড়তে হয়। আমাদের মারপিটসহ পেন্ডিং মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হয়। এর প্রতিকারে কয়েকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করলেও কোন লাভ হয়নি।
তারা আরো বলেন, ইরি ধান কাটার পর দুই মাস ধরে মেশিন দিয়ে পানি তুলেছে ঘের মালিক সুলতান। এরপর প্রতিদিন রাতে দেয়া হচ্ছে পোল্ট্রির বিষ্ঠা। এসময় উপস্থিত তহমিনা বলেন, তার বাড়ি ঘেরের পাড়ে। গন্ধে কুলোতে না পেরে উগের (ঘের মালিকের লোকের) পায়ে ধরিছি আমার বাড়ি-ঘর কিনে নিতি। আমরা অন্য জায়গায় চলে যাবো। এসময় তারা ক্ষোভ করে বলেন, প্রতিকারে কয়েকবার ইউএনও অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার আবেদন করেও লাভ হয়নি। উল্টো আনোয়ার, রফিকসহ ঘের মালিকের পোষ্য বাহিনী তাদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা ।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নান্নু রেজা বলেন, এমন খবর আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি। কয়েক জায়গায় ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, এ বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version