মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নবজাতক উধাও হওয়ার ঘটনায় তদন্তকার্য সম্পন্ন হলেও তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তদন্ত শেষ হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের দাবি, দ্রæত প্রতিবেদনের মাধ্যমে অপরাধীদের মুখোশ খুলে দেয়া হোক।
জানা যায়, বুধবার (১৫ আগস্ট) মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এক নবজাতক গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম গঠন করে দেন। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হারুন-আর-রশিদকে প্রধান করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শাহিন এবং অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র গাইনি কনসালটেন্ট ডা. নার্গিস আকতারকে নিয়ে তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ঐ টিমকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়। গত ১৯ আগস্ট ওই টিম তাদের তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল গফ্ফারের কক্ষে ওইদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী চলে তদন্ত কাজ। তদন্ত টিম হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিবকুমার পাল, সিনিয়র স্টাফ নার্স হ্যাপি রায়, ঝরনা বিশ্বাস, নার্স নাজমুন নাহার নাজমা, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সালমা খাতুন, আয়া পূর্ণিমা রানি, কাকলিরানি, রওশনারা খাতুন, প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা ওয়ার্ডের রোগী সালেহা বেগমসহ মোট ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ১২ জনের জবানবন্দি মৌখিক এবং লিখিত আকারে নেওয়া হয়। এ ছাড়াও নবজাতক চুরির দৃশ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজও তদন্ত টিম সংগ্রহ করেন। টিমের কাছে হ্যাপি রায় গোপনে নবজাতককে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তিনি নবজাতকটির মা-বাবার পরিচয় দিতে পারেননি।
এদিকে, তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর দাখিল করার নির্দেশনা থাকলেও অদ্যাবধি সে প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। সাধারণ মানুষের দাবি, দ্রæত এ প্রতিবেদন সকলের সামনে প্রকাশ করা হোক।
মণিরামপুরে নবজাতক গায়েবের ঘটনায় তদন্ত শেষ হলেও প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/