মণিরামপুর(যশোর) প্রতিনিধি: চুরির অপবাদ দিয়ে মারপিট করায় অপমান সইতে না পেরে মণিরামপুরে সুমন হোসেন (১৫) নামের এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত সুমন পৌরশহরের আবুল হোসেনের মাছের আড়তে কাজ করতো। সুমন পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমনের গ্রামের বাড়ি খুলনা জেলার গিলেতলা এলাকায়। মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে মা নাজমা বেগম সুমনকে নিয়ে মণিরামপুরে চলে এসে পৌর শহরের দূর্গাপুর গ্রামে ঘরভাড়া নিয়ে থাকতেন। মা পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেন। আর সুমন পৌরশহরের আবুল হোসেন ওরফে ছোট আবুলের মাছের আড়তে কাজ করতো। সম্প্রতি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাস বাক্স থেকে ৫শ’ টাকা চুরি হলে আড়তের ম্যানেজার আলা উদ্দীন সুমনকে দোষারোপ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় মারপিটসহ সুমনের মোবাইল কেড়ে নেয়। এ অপমান সইতে না পেরে মা ভোরে কাজ করতে গেলে নিজ ঘরের আড়ায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে সুমন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আড়ত মালিক আবুল হোসেন টাকা চুরির কথা জানিয়ে বলেন, তিনি সুমনকে মারেননি। তার ম্যানেজার আলাউদ্দীনই সুমনকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছিল। এ ব্যাপারে আলাউদ্দীনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সে কারনে তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক সুমনকে মারপিটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চুরির অপবাদ সইতে না পেরে মনের দুঃখে সুমন আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন। তবে, এব্যাপারে নিহতের পরিবারের কেউ আত্মহত্যার প্রচারণার দায়ে মামলা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
মণিরামপুরে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে কিশোরের আত্মহত্যা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/