মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে অপহরণের এক সপ্তাহ পর আব্দুল বারিক (৩১) নামে এক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বারিক উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের বুধোই সরদারের ছেলে। এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনের নামে বারিকের পিতা থানায় অভিযোগ করেছেন। উদ্ধারের পর বারিক মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় বারিকের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বারিক সিগারেটের পাইকারি ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে বাকোশপোল গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও পার্শ্ববর্তী কেশবপুর উপজেলার মাগুরখালি গ্রামের বাবুল (৪৫) এর সাথে ব্যবসা করে আসছিলো। গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে গেলে বারিককে অপহরণ করা হয়। এরপর থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য স্থানে বারিকের খোঁজ করে। কিন্তু সন্ধান না মেলায় একই মাসের ২২ সেপ্টেম্বর বারিকের পিতা বুধোই সরদার বাদী হয়ে বারিকের দুই ব্যবসায়িক পার্টনার শরিফুল ইসলাম ও বাবুল (৪৫) এবং উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামের নিছার সরদারের ছেলে ইউনুচ আলীর বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় অভিযোগ করেন।
বারিকের পিতার অভিযোগ, গত ৪-৫ মাস ধরে ব্যবসা নিয়ে দুই পার্টনার শরিফুল ও বাবুলের সাথে মনোমালিন্য চলছিলো। অপরদিকে জমা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো বারিকের গ্রামের ইউনুচ আলীর সাথে।
অপহৃত বারিক জানান, এ বিরোধ নিয়ে ইউনুচ আলীর সাথে কয়েকবার কথাকাটিও হয়। এমনকি তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। ছাড়ে সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে বারিককে মোবাইল ফোনে এমন টোপ দিয়ে টাকা নিয়ে রাজগঞ্জ বাজারে যেতে বলা হয়। তিনি সেখানে যেয়ে ইউনুচ আলী, শরিফুল ও বাবুলকে একসঙ্গে দেখেন। এরপর আর কিছু তিনি বলতে পারেন না। এসময় শুধু পানি আর প্রসাব খেতে দেয়া হয় বলেও জানান বারিক।
অপহরণের পর পিতা বুধোই সরদার বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশকে জানালে অপহরণের সাত দিন পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর বারিককে উপজেলার খেদাপাড়া বাজার থেকে বেহুশ অবস্থায় উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আইনুদ্দিন। এরপর বারিককে তার পিতার হাতে তুলে দিলে সাথে সাথেই তাকে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বারিক সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার সাথে জড়িত দোষিদের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনো ব্যবস্থা না নেয়ার বারিকের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানতে চাইলে ফাঁড়ি ইনচার্জ আইনুদ্দীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
মণিরামপুরে অপহরণের ৭ দিন পর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/