Site icon suprovatsatkhira.com

বেহাল খলিষখালীর অধিকাংশ রাস্তা, ভোগান্তিতে মানুষ

খায়রুল আলম সবুজ, খলিষখালী (পাটকেলঘাটা): পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলোর বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম বিপত্তিতে পড়েছে ইউনিয়নবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খলিষখালী ইউনিয়নে ৪৯ কিলোমিটার রাস্তা আছে। এর মধ্যে ১২ কিলোমিটার পাঁকা ও ২৬ কিলোমিটার কাঁচা এবং ১১ কিলোমিটার ইটের সোলিং এর রাস্তা। যার অধিকাংশ চলাচলের অনুপযোগী। ইউনিয়নের চোমরখালী পূজাম-প থেকে শুরু করে আমতলাডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা থাকায় লোকজনের দুর্ভোগের সীমা নেই। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। সড়কটি দিয়ে ভ্যান, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, মটরসাইকেলসহ নানা যানবহনে চলাচলকারী যাত্রী ও পথচারীরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে। অধিকাংশ জায়গায় খানা খন্দে ভরা রাস্তায় ভ্যান তা দূরের কথা বাই সাইকেলেই যেতে পারে না। এ কারণে কাশিয়াডাঙ্গা, রাঘবকাটী গ্রামের অধিকাংশ মানুষকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার ঘুরে পাটকেলঘাটাতে যেতে হয়।
এছাড়া খলিষখালী ইউনিয়ন কাউন্সিল হতে খলিষখালী কালকেনগর সরকারি প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত ইটের সোলিংয়ের রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় ইট উঠে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে ভ্যান বা বাইসাইকেলে যেতে পারে না। রাস্তাটি চলাচলের জন্য একবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। রাস্তায় ইট উঠে গিয়ে কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত বা খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী দুধলী গ্রামের বাসিন্দাসহ আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া রেজাউল এর চায়ের দোকান হতে গোলদার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা, কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে গোয়াল পোতা বাজার সংলগ্ন বিলের রাস্তাটি, রাঘবকাটী গ্রামের জামে মসজিদ হতে পালপাড়া যেতে ইটের সোলিং রাস্তাসহ ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আইজুল মোড়ল বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। পাটকেলঘাটায় একটি দোকান আছে। ইউনিয়নের রাস্তাগুলোর এতই খারাপ যে বৃষ্টির সময় তো দূরের কথা শুকনার সময় আমি বাই সাইকেলে যেতে পারি না।
এনায়েত পুর গ্রামের আবু সাইদ জানান, হরিতলা রেজাউলের চায়ের দোকান থেকে গোলদার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচল করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারে না। এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা গুরুর গাড়িও চলবে না। আমাদের খুব ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।
কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের রিপন মোল্লা জানান, কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে গোয়াল পোতা বাজার সংলগ্ন বিলের রাস্তাটি খুব খারাপ। এই রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ এলাকায় যেতে হয়। এই রাস্তা দিয়ে বর্ষার মৌসুমে মাছ ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার মণ মাছ বাজারে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যায়। এতে যেমন কষ্ট হয় সময় তেমনি খরচও হয় অনেক। এই রাস্তাটি পিচের রাস্তা হওয়ার খুবই দরকার।
এ ব্যাপারে খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান জানান, রাস্তাগুলো খারাপ আমি জানি। খুব তাড়াতাড়ি ইটের রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে। আর যেসব রাস্তা কাঁচা আছে এই সরকার আবার ক্ষমতায় এলে আর কোন রাস্তা কাঁচা থাকবে না। আশা করি যে রাস্তাগুলো কাঁচা ও খারাপ- আগামী দু-এক বছরের মধ্যে সেগুলো সংস্কার করা হবে। এছাড়া বর্ষার মৌসুম চলে গেলে অনেক রাস্তা নতুন করে মেরামত হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version