সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
বেসরকারি ক্লিনিকের জন্য প্রণীত নীতিমালা শিথিল করতে হবে প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় বক্তারা
বাহলুল করিম: বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা শাখার সভায় বক্তারা বলেছেন, প্রাইভেট ক্লিনিকের ওপর সরকার যে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে তা যদি বাস্তবায়ন হয় তবে দেশের ৯৫% ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যাবে। এখন সময় আমাদের একত্রিত হওয়ার। ক্লিনিক নবায়নের জন্য কত টাকা ধার্য করা হয়েছে সেটা আমরা জানতে চাই। যখন মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় তখন সব দেখানো হয়। সরকারি হাসপাতালে কী সবগুলো পদে ডাক্তার আছেন? নেই। তবে ক্লিনিকগুলোর উপর কেন এত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ক্লিনিক নবায়নের সময় অনেক কাগজপত্র জড়ো করতে হয়। মোটা অংকের টাকা দেই কিন্তু লাইসেন্স পায় না। এবারের সংগ্রাম আমাদের বাঁচার সংগ্রাম। কেন্দ্রীয় সভাপতি পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা। ভেবেছিলাম আমাদের সমিতি গঠিত হয়েছে এবার আমরা শান্তিতে কাজ করতে পারবো। কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের সমিতি যেন বন্ধ না হয় ও লাইসেন্স পেয়ে ভালভাবে কাজ করতে পারি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে এটাই আমাদের দাবি। বর্তমান সরকার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ক্লিনিক নবায়নের ক্ষেত্রে সরকার যে শর্ত দিয়েছে তা করা আমাদের পক্ষে কখনো সম্ভব নয়। আমাদের দাবি যদি ওনারা না মানেন তাহলে আমরা আন্দোলনে যাবো। মানুষ ৩০-৪০% সরকারি স্বাস্থ্য সেবা পায়। বাকি ৬০% স্বাস্থ্য সেবা আমরা দিয়ে থাকি। সাধারণ গরীব ও অসহায় মানুষকে আমরা স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। এর সাথে আমাদের রুটি-রুজি জড়িত। ক্লিনিক যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। আমাদের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে একটি সহজ পদ্ধতি আনা উচিত। যা আমাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে। ক্লিনিকগুলো বন্ধ হলে দেশে বেকারত্ব বেড়ে যাবে। সভার প্রধান বক্তা বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, যে কোন বিষয়ে যখন কোন বাঁধা আসে তখন একটা লড়াই হয়। বাংলাদেশ সরকার সবকিছু ডিজিটালাইজড করছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য ও সেবা খাতও ডিজিটালাইজড হচ্ছে। আমরাও এই ডিজিটালাইজডকে স্বাগত জানাই। সরকারের সাথে আমরাও একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজড দেশে পরিণত করতে চাই। কিন্তু ক্লিনিকগুলোর ওপর যে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে তা কী যুগোপযোগী হয়েছে? না হয়নি। প্রাইভেট সেক্টরে যদি অগ্রগতি না হতো তবে দেশে স্বাস্থ্য সেবা বিঘিœত হতো। কিন্তু এই নীতিমালা দ্বারা যদি ছোট ছোট ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যায় তবে দেশের স্বাস্থ্য সেবা অনেকটাই ভেঙে পড়বে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারের চাপকে অনেক কমিয়ে দিয়েছে। 9,015,733 total views, 262 views today |
|
|
|