Site icon suprovatsatkhira.com

পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে শ্যামনগর ফুটবল একাডেমি

শ্যামনগর প্রতিনিধি: ক্রীড়াক্ষেত্রে সাতক্ষীরা জেলার নাম দেশব্যাপী। জেলার আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা প্রতীভাবান খেলোয়াড় বের করে আনতে অব্যাহত ভূমিকা রাখছে একাধিক ক্লাব/সংগঠন। ঠিক তেমনিভাবে শ্যামনগর ফুটবল একাডেমি নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে শ্যামনগরের ক্রীড়া অঙ্গনকে উজ্জল করতে কাজ করছে। এ একাডেমিতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ৮০ জন ফুটবলার নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি চরম অর্থ সংকট ও ক্রীড়া সামগ্রীর অভাবে এ একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ হতে চলেছে।
খোঁঝখবর নিয়ে যানা যায়, অর্থ সংকট, ক্রীড়া সামগ্রীর অভাবসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা খেলোয়াড়রা হতাশ হয়ে পড়েছে। উপকূলবর্তী এ উপজেলার মানুষ অত্যন্ত সংগ্রাম করে জীবনযাপন করে। সব কিছুকে পিছনে ফেলে এখানকার ছেলে-মেয়েরা ফুটবলকে ভালবাসতে শুরু করলেও আর্থিক সংকটে পিছিয়ে পড়ছে তারা। এ একাডেমি থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক ফুটবলার দেশের নাম করা সব ক্লাবে খেলা করছে। বিকেএসপিতেও প্রায় প্রতি বছর সুযোগ পাচ্ছে শ্যামনগর ফুটবল একাডেমির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফুটবলাররা।
শ্যামনগর ফুটবল একাডেমির কোচ মো. আকতার হোসেন জানান, শ্যামনগর থেকে ভাল খেলোয়াড় বের করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে অর্থ ও উন্নতমানের ক্রীড়া সামগ্রীর অভাবে আমাদের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। এখানকার ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ ও নার্সিং করতে পারলে তারা দেশের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একাডেমিতে বিভিন্ন সময় ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংস্থা সাহায্য করে থাকে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা পেলে আমরা ভাল কিছু করতে পারবো।
শ্যামনগর ফুটবল একাডেমির ক্ষুদে ফুটবলার নয়ন বলে, আমরা ভাল মানের খেলোয়াড় হতে চাই। বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে চাই। কিন্তু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে আমাদের ক্রীড়া সামগ্রী কিনে দেয়। আমাদের আকতার ওস্তাদ নিজের খরচে এবং নিজের দায়িত্বে সবাইকে বিকেএসপির বাছাইপর্বে নিয়ে যায়। যারা অনেক দূর থেকে আসে, তাদের নিজ বাড়িতে রেখে অনেক সময় খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও করে।
ক্রীড়া সংগঠকদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ একাডেমিতে ভালমানের ফুটবলার তৈরি হওয়া সম্ভব।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version