পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটার কুমিরা ইউনিয়নের মাহামুদপুর গ্রামে নিজ জমিতে ঘর নির্মাণে বাঁধা ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে রহিমা বেগম নামে এক বিধবা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পাটকেলঘাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রহিমা বেগম বলেন, পাটকেলঘাটার মাহামুদ মৌজার জেএল নং-৫১, খতিয়ান নং-৬২ এর ৬৭ দাগের উপর দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছি। উক্ত জমিতে প্রতি বছর বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ কারণে জমির অন্যান্য শরিক আব্দুল মান্নান মোল্লা, নফর মোল্লা, মফেজ উদ্দীন মোল্লা, শহিদ শেখদের অনুমতি নিয়ে জায়গায় উঁচু করে ঘর নির্মাণের কাজ করতে থাকলে পার্শ্ববতী আমির আলী মোল্লা ও সাহেব আলী আমার পৈত্রিক জায়গায় ঘর নির্মাণ কাজে অবৈধ ভাবে বাঁধা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন রকম হয়রানি শুরু করে। উক্ত জমি নিয়ে ১৯৮৯ সালে আদালতে আমির আলি একটি মামলা দায়ের করে, উক্ত মামলায় ০৭/০৭/২০০৪ সালে আমি এবং আমার জমির শরিকগণ রায় পাই। পরবর্তীতে আমির মোল্লা পুনরায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া জেএল নং-৫১ এর ৬২ ও ৬৩ খতিয়ানের ১৩টি দাগের মধ্যে একটি মাত্র ৬৭ দাগের ১০ শতক জমি আমির আলী মোল্লা ভোগ দখল করে আসছে। বিগত ৬২ এর রেকর্ড ও বর্তমানে প্রিন্ট পর্চায় তাদের ঐ ১০ শতক জমিই রেকর্ড হয়েছে। আমি যে জায়গায় ঘর করছি সেটি আমির আলী মোল্লাদের ঐ ১০ শতক জমির আওতাধীন নয়। অথচ আমি ঘর করার সময় আমির আলী মিথ্যাভাবে আদালতে আমি ও আমার শরিকদের নামে মামলা দায়ের করে। আদালত বিষয়টির তদন্তভার স্থানীয় কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর প্রদান করেন। চেয়ারম্যান দুপক্ষের উপস্থিততে লিখিতভাবে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। তারপরও আমির আলী মোল্লা ঘর নির্মাণে বাধাসহ হয়রানি ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার দুটি সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে রহিমা বেগম সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পাটকেলঘাটায় ঘর নির্মাণে বাঁধা ও জীবননাশের হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/