বেনাপোল প্রতিনিধি: দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে ভয়াবহ পণ্যজট দেখা দিয়েছে। টানা তিন দিনের লাগামহীন যানজট ও পণ্যজটে বেনাপোল বন্দর স্থবির হয়ে পড়েছে। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে নেমে এসেছে অচলাবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পচনশীল পণ্যসামগ্রী। এতে করে লোকসানের সম্মুখিন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে পণ্যবাহী পরিবহন। যেতে পারছে না পাসপোর্ট যাত্রীরাও। এতে ঢাকা-কোলকাতা মহাসড়কের বেনাপোলে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট এবং দিন দিন তা বাড়ছেই।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিবছর বেনাপোল থেকে সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৬-৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন তেমন হয়নি। জায়গা ও শেড ইয়ার্ড সংকট কমেনি। হাজারও ট্রাকের চ্যাসিসসহ আমদানি-রফতানিককৃত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরের প্রধান সড়কের উপর পড়ে আছে। আর এতে সমস্যা দিনের পরে দিন বাড়ছেই।
ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ বন্দরের জায়গা স্বল্পতাই এখানে প্রধান সমস্যা। তবে এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভালো না থাকলেও আছে চাঁদা কালেকশনের মহোৎসব।
ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, স¤প্রতি বেনাপোল বন্দর এলাকায় যানবাহন ও মানব চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যান ও পণ্যজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের। পাসপোর্ট যাত্রীসহ পথচারী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা পড়ছেন বিপাকে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়ীরা। পণ্যজটে আটকা পড়ে খালাসে বিলম্ব হওয়ার ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সুজন ও ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, বন্দরে জায়গা ও যন্ত্রপাতির সমস্যা দীর্ঘদিনের। বন্দরের গতি ফেনাতে কমপক্ষে তিনশ একর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক আমিনুর রহমান জানান, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতি ফেরাতে ও যানজট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। দফায় দফায় প্রশাসন ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পণ্যজটে স্থবির বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/