Site icon suprovatsatkhira.com

তালার কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি: তালার কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দে’র বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপরও প্রধান শিক্ষক উক্ত নিয়োগ সম্পন্নের চেষ্টা করায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তারপরও কৌশলে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য গোপনে চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার পায়তারা করছে প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কৃষ্ণকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক তপন দে পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকে সদস্যদের কাছ থেকে রেজুলেশনের সাদা পাতায় স্বাক্ষর নেন। কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই সভা সমাপ্ত করা হয়। তারপর প্রধান শিক্ষক পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের গোপন রেখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমানের সহায়তায় গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরীক্ষায় নিজের নির্ধারিত প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করতে কতিপয় আবেদনকারীদের মাঝে ইন্টারভিউ কার্ড প্রদান করেন ওই শিক্ষক। সে অনুযায়ী গত ১৭ সেপ্টেম্বর তালা সরকারি হাইস্কুলে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রমের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ক্ষুব্ধ অন্য প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করেন। এরপরও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পরস্পর যোগসাজসে গোপনে পুনরায় কথিত নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার চেষ্টা করায় নিয়োগ স্থগিত চেয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. বদিউর রহমান সরদার বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা (৮১/২০১৮) দায়ের করেছেন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে জাতীয় দিবস পালন না করা, ইচ্ছেমত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পরিবর্তন, বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমির হারির টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া দাতা সদস্য সৃষ্টি, চলতি বছরের এডিপি’র বরাদ্দের এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাজমুল হুদা খোকন, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, বদিউর রহমানসহ একাধিক সদস্য জানান, রেজুলেশনের সাদা পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অন্যান্য সদস্যদের সাথে প্রতারণা করেছেন। এমনকি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করারও অভিযোগ করেন সদস্যরা।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দে’ তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিলেইতো নিয়োগ হয়ে যেতো।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, আমার কোন চাহিদার বিষয়টি বানোয়াট, তবে জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version