কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুর পৌর এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল নিতে জমির মালিককে মারপিট ও রোপণকৃত আমন ধান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জমির মালিক মোসলেম মোল্যার স্ত্রী হামিদা বেগম কেশবপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, পৌরসভার আলতাপোল গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহ ১৯৬২ সালে আলতাপোল মৌজার সাবেক ৮৯১ ও ১০৮৮ দাগের ৩০ শতক জমির মধ্যে ১৯ শতক জমি বিক্রি করে মৃত আবেজান বিবির কাছে। অবশিষ্ট ১১ শতক জমি বরকতউল্লাহর ওয়ারেশ মৃত খোশজান বিবি ও মৃত জয়গুন বিবির নামে সমান অংশে দানপত্র দলিল করে দেয়। সেই সুবাদে ওই জমির হাল রেকর্ড হয় তাদের নামে। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে জয়গুন তার অংশ খোশজানের নামে দানপত্র দলিল করে দেয়। খোশজানের মৃত্যুর পর ওই জমির মালিক হন তার ওয়ারেশ মোসলেমউদ্দীন ও শাখেরা খাতুন। এর মধ্যে শাখেরা খাতুন তার অংশ ভাই মোসলেমউদ্দীনের নামে দানপত্র দলিল করে দেয়। ২০১৪ সালে ওই জমির নামপত্তন হয় আমার স্বামী মোসলেমউদ্দীনের নামে। সেই থেকে আমার স্বামী ওই জমি দখল করে বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছেন। কিন্তু, একই গ্রামের মৃত হাসেম বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন, বুলু বিশ্বাস, ইকবাল হোসেনসহ ৭-৮ জন বিভিন্ন সময়ে ওই জমি তাদের দাবি করে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক আদালতে মামলা করে হয়রানি করে আসছে। তারা জমি দখলের চেষ্টা করলে গত ২০১০ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি আমার স্বামী মোসলেমউদ্দীন আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা করেন। যার নং-পি-২৪০। এসব মামলার রায় ও থানা পুলিশের ১৪৪ ধারার প্রতিবেদন আমার স্বামীর পক্ষে যায়। এতেও তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে জমি দখলের চেষ্টা করলে আদালত ওই জমিতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার নং- ৬৬/১১। কিন্তু, গত ২ সেপ্টেম্বর আমাদের রোপণকৃত জমিতে লাগানো আমন ধানের ক্ষেত নষ্ট করে দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে আমার স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমার প্রতিপক্ষের হুমকিতে বাড়ি থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছি না। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কেশবপুরে জমি দখল ও মারপিটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/